Kaliaganj: পরিস্থিতি সামলাতে সাহেবঘাটায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বাইকের চাকার হাওয়া খুলল পুলিশ
Kaliaganj: শুক্রবার সকালে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। বাসিন্দাদের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার।
কালিয়াগঞ্জ: ফের উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা। কিশোরীর মৃত্যুতে অভিযুক্তর গ্রেফতারির দাবিতে সাহেবঘাটা ব্রিজে জমায়েত। পুলিশ আটকালে রীতিমতো বচসা উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। বাসিন্দাদের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। সাহেবঘাটা ব্রিজে অভিযুক্তর গ্রেফতারির দাবিতে জমায়েত করেন এলাকাবাসী। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। আপডেট পড়ুন (প্রথম দিক থেকে সর্বশেষ তথ্য)
- জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা (Rekha Sharma) কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে। তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছভাবে হয় এবং যাতে অযথা সময় নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিকে ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর নজরদারির কথা বলা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের পাঠানো ওই চিঠিতে।
- কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি টুইটার পোস্ট হওয়া ভিডিয়োর মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছে কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকাকে একদল ব্যক্তি ধর্ষণ করে খুন করেছে। কমিশনের দাবি, ওই ভিডিয়োও পুলিশকর্মীদের দেখা গিয়েছে মৃতা দেহ নির্মমভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট জাতীয় মহিলা কমিশন
- জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এলাকায় গিয়ে পুলিশ সাইকেল, মোটরবাইকের হাওয়া খুলে দিচ্ছে। যাঁদেরকে আটক করতে পারছেন না তাঁদেরকে আটকাতে এই পন্থা নিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা।
- জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে স্টান্ড গ্রেনেড ছুড়ল পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দিকে ছোড়া হল রবার বুলেট। ছোড়া হয়েছে টিয়ার গ্যাস।
- উত্তেজিত জনতা জ্বালিয়ে একটি দোকান। চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
- বর্তমানে পরিস্থিতি সেখানকার এতটাই উত্তপ্ত যে সাহেবঘাটা এলাকার দোকানদাররা নিজেদের দোকানের ঝাঁপ গুটিয়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন।
- আরও একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। হঠাৎ করে অ্যাডিশানাল এসপি বলল লাঠিচার্য। কাঁদানি গ্যাস। আমরা তো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম।”
- হাতে লাঠি নিয়ে পথে নেমে পড়েছেন এলাকাবাসী। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “মেয়েটার পরিবারের সঙ্গে কথা বলব পুলিশ আমাদের আটকে দিচ্ছে। যেতে দিচ্ছে না।”
- এবিভিপি-র তরফ থেকেও কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
- পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গেলে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা।
- সূত্রের খবর, এদিন বিক্ষোভকারীরা একটি টোটো ভাঙচুর করেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় একটি দোকান ভাঙা হয় বলে খবর।
- এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে আরও উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।
- তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানানন, এই ঘটনায় যে বা যারা দোষী হোক না কেন, সে শাস্তি পাবে। আইন আইনের পথে চলবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
- বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইটে একটি ভিডিয়ো পোস্টও করেন।
- থমথমে কালিয়াগঞ্জে গিয়ে প্রথমেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ময়নাতদন্তের আগেই কীভাবে পুলিশ আত্মহত্যা বলে চিহ্নিত করল?
- শনিবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।