NCW on Kaliyaganj Case: কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ডিজিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের, ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব
NCW: তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছভাবে হয় এবং যাতে অযথা সময় নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিকে ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর নজরদারির কথা বলা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের পাঠানো ওই চিঠিতে।
নয়াদিল্লি: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliagunj Minor Girl Death) নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিবারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। এবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠাল জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি টুইটার পোস্ট হওয়া ভিডিয়োর মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছে কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকাকে একদল ব্যক্তি ধর্ষণ করে খুন করেছে। কমিশনের দাবি, ওই ভিডিয়োও পুলিশকর্মীদের দেখা গিয়েছে মৃতা দেহ নির্মমভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা (Rekha Sharma) কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে। তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছভাবে হয় এবং যাতে অযথা সময় নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিকে ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর নজরদারির কথা বলা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের পাঠানো ওই চিঠিতে।
এর পাশাপাশি ঘটনার পরে টুইটারে যে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা টেনে নিয়ে যাচ্ছে নাবালিকার দেহ। কমিশনের বক্তব্য যেভাবে দেহটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা নির্মম। সেই নিয়েও বেশ বিরক্ত জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ওই চিঠিতে আরও লিখেছেন, যে পুলিশকর্মীরা নাবালিকার দেহ ওইভাবে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যেন যথাযথ ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়, সেই কথাও বলা হয়েছে চিঠিতে। পুলিশের তরফে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা আগামী তিন দিনের মধ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল এলাকার একটি পুকুরের ধার থেকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যখন কিশোরীর দেহটি উদ্ধার হয়েছিল, তখন দেহ বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে ছিল। এরপই পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এদিকে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় দফায় দফায় উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। যেভাবে কিশোরীর দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারপর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি শিবিরও। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ইতিমধ্যেই মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন।