Krishna Kalyani: ‘ওঁরা করলে রাসলীলা, আমরা করলে ক্যারেকটার ঢিলা’
Sukanta Majumder: কৃষ্ণ কল্যাণীর তৃণমূলে যোগদানকে কেন্দ্র করে সুকান্তের দাবি ছিল তৃণমূলে যোগদান করলে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেই যোগদান করা উচিত
উত্তর দিনাজপুর: তৃণমূলে (TMC) যোগদানের পরেই শুক্রবার প্রথম রায়গঞ্জে আসেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। নিজকেন্দ্রে পা রেখেই সরাসরি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিশানা করেন অধুনা তৃণমূল নেতা। কৃষ্ণ কল্যাণীর তৃণমূলে যোগদানকে কেন্দ্র করে সুকান্তের দাবি ছিল তৃণমূলে যোগদান করলে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেই যোগদান করা উচিত। সেপ্রসঙ্গেই সরাসরি রাজ্য সভাপতিকে নিশানা করলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ কল্যাণী এদিন বলেন, “বিজেপিতে থেকে কাজ করা যায় না। তাই আমি তৃণমূলে এসেছি। আর সুকান্তবাবুকে জানাতে চাই, তৃণমূলের দুজন সাংসদ এখন বিজেপিতে। তাহলে তাঁদের জন্য এক নিয়ম আমাদের জন্য অন্য নিয়ম কেন? সব দলের জন্যই তো এক নিয়ম হওয়া উচিত। ওঁরা করলে রাসলীলা, আমরা করি তো ক্যারেক্টার ঢিলা!”
তবে নাম উহ্য রাখলেও কোন দুই সাংসদকে কৃষ্ণ কটাক্ষ হানলেন তা স্পষ্টই রাজনৈতিক মহলের কাছে। অধিকারী পরিবারের ‘কর্তা’ শিশির অধিকারী ও তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র দিব্যেন্দু উভয়েই তৃণমূলের সাংসদ। খাতায় কলমে তাঁরা তৃণমূলের তরফে হলেও প্রচ্ছন্ন সমর্থন বিজেপিতেও। অমিত শাহের সভামঞ্চ থেকে নিজের পুত্রের পক্ষে মন্তব্য করেছিলেন শিশির, তো অন্যদিকে দিব্যেন্দুর নিরাপত্তা থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি ঘটে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই গোটা অধিকারী পরিবারের সঙ্গে কার্যত দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে তৃণমূল। একে একে সমস্ত সরকারি ও প্রশাসনিক পদ থেকেও সরানো হয়েছে অধিকারীদের। সেদিক থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী যে আকারে ইঙ্গিতে অধিকারী পরিবারকেই নিশানা করলেন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বস্তুত, শুক্রবার দুপুরে রায়গঞ্জে দলীয় কর্মসুচীতে যোগ দিতে এসে সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমুলে যোগ দেওয়া রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম উল্লেখ না করে তাঁকে উদ্দ্যশ্য করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “নিয়ম অনুসারে তার বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া উচিত। তবে কোর্টে কি যাবে বা স্পিকারের কি মত হবে, তার আগে তো নৈতিকতার খাতিরে এই দল বদল যারা করছেন তাদের ইস্তফা দেওয়া উচিত।” সুকান্তের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই কার্যত এদিন পাল্টা কটাক্ষ করেন রায়গঞ্জের বিধায়ক।
বিগত এক মাস ধরেই কৃষ্ণ কল্যাণীর দলবদল নিয়ে জল্পনা ছিল। কিছুদিন আগে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে রায়গঞ্জের দলীয় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, জেলা কমিটির কোনও দলীয় কর্মসূচিতে আর তিনি থাকবেন না। বাসুদেব সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।একই সঙ্গে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: শেষ মুহূ্র্তে গোয়া-সফরে কাটছাঁট, রাহুলের আগমনেই কি এই সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর?