Chopra Clash: রাস্তার উপর ঘর তৈরি নিয়ে ঝামেলা, কারও ভাঙল হাত, কারও ফাটল মাথা
Dinajpur: রবিবার সকালে সেই ঝামেলাই চরম আকার নেয়। অভিযোগ, দু'পক্ষই একে অপরের দিকে রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে আক্রমণ করে।
উত্তর দিনাজপুর: জমি নিয়ে ঝামেলা। তার জেরে বাঁশপেটা থেকে লাঠালাঠির অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। অভিযোগ, রাস্তার জমি দখল ঘিরে তুমুল ঝামেলা বাঁধে এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে। দু’পক্ষই নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করেছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। একজন মহিলাও রয়েছেন। চোপড়ার হাপ্তিয়াগছ গ্রামপঞ্চায়েতের ফতেহাবাদে সকাল থেকেই এই গোলমাল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার দুই বাসিন্দা বসিরুদ্দিন ও সাবির আলমের মধ্যে জমিসংক্রান্ত একটা ঝামেলা রয়েছে। মূলত একটি রাস্তা জমির দাবিদার কে, তা নিয়ে ঝামেলা।
রবিবার সকালে সেই ঝামেলাই চরম আকার নেয়। অভিযোগ, দু’পক্ষই একে অপরের দিকে রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে আক্রমণ করে। তাতেই কারও মাথা ফাটে, কারও আবার শরীরে আঘাত লাগে গুরুতর। অভিযুক্ত বসিরুদ্দিনের ছেলে শাহিদ আক্তার জানান, এলাকায় প্রায় ১২ ফুট চওড়া একটা রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করেন। রবিবার সকালে সেই রাস্তারই একটা অংশ দখল করে সাবিরের লোকজন ঘর বানাচ্ছিলেন। এলাকার লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরপরই পাল্টা তাঁদের উপর সাবিরের লোকেরা হাত তোলেন বলে দাবি শাহিদের।
সাবির আলম অবশ্য দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, ১৫৫ দাগে ৬ শতক জমি তাঁদেরই। নিজেদের জমিতেই ঘর তুলছিলেন। জোর করে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। সাবিরের বক্তব্য, ঘর থেকে কাগজপত্র এনে দেখিয়েছিলেন তিনি। তারপরও তাঁকে রেহাই দেওয়া হয়নি। তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। সাবিরের ভাইয়ের কথায়, “আমি কাজ থেকে আসছিলাম। দেখি আমার দাদাকে মারছে। ৩০-৩৫ জন ছিল। আমি ধরতে গেছি আমাকেও মেরেছে। জমি নিয়ে ঝামেলা। তার জন্য এই মারামারি। বসির, ওর ছেলে প্রায় প্রায়ই দাদাকে হুমকি দেয় মেরে দেবে।” উভয়পক্ষই জানায়, থানায় অভিযোগ জানানো হবে। যদিও ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চোপড়া থানার পুলিশ। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।