Body Found: ছেলেটার ঘাড়ে মুখ গুঁজে মেয়েটা, মেয়েটার কাঁধে মাথা ঠেকানো কিশোরের; গ্রামের মাঝে এ কী কাণ্ড, উঁকিঝুঁকি পড়শিদের…
North Dinajpur: স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সৌরভের গ্রামেরই একটি বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি।
উত্তর দিনাজপুর: গ্রামের মধ্যে সরু রাস্তা। তার পাশেই গাছগাছড়া। সামনে বড় আমগাছ। সাত সকালে সেই পথ ধরে যাওয়ার সময় দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন এলাকার লোকজন। শুরু হয় হইহই। আম গাছের ডালে একই ওড়নায় ঝুলছে যুগল। দু’জনই এক গ্রামের বাসিন্দা। প্রেমঘটিত কারণেই দু’জনে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান দুই পরিবারের। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার বরুণা গ্রামের ঘটনা ঘিরে সকাল থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জানা গিয়েছে, নিহতরা দু’জনেরই বয়স ১৮ বছরের কম। নাম সৌরভ দেবশর্মা (১৭) ও মালতী দেবশর্মা (বয়স ১৬)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সৌরভের গ্রামেরই একটি বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। অন্যদিকে মালতী বাড়িতেই ছিল। রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে শুতে যায়। এরপরই সোমবার সকালে তাঁদের ঝুলতে দেখা যায়। একই ওড়নায় দু’জন ঝুলছিল। সৌরভের কাঁধে মুখ গুঁজে ছিল মালতী। এরপরই দুই বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় স্কুলে এগারো ক্লাসে পড়ে সৌরভ। মালতী দশম শ্রেণির ছাত্রী। কেন এই ঘটনা তা নিয়ে ধন্দে পরিবার। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সৌরভের কাকা অনিত দেবশর্মা বলেন, “কেন যে ও এমন করল কে জানে। আগে তো কিছুই শুনিনি। ভাবতেই পারি না আমাদের ছেলে এরকম করতে পারে। ও যে প্রেম করতে পারে বা প্রেম করে নিজেকে শেষ করে দেবে ভাবতেই পারছি না। ভাইপোর কাছে একটা ছোট্ট মোবাইল ফোন আছে। খুব যে কথা বলত এমন না। মেয়েটার সঙ্গে আমাদের বাড়ির দূরত্ব ১ কিলোমিটার খুব বেশি হলে। একই গ্রাম আমাদের। কিন্তু ওদের কখনও ঘোরাফেরা করতেও দেখিনি। কারও কাছে শুনিওনি কখনও। এখন বোঝা যাচ্ছে ওদের সম্পর্ক ছিল।”
অন্যদিকে মালতীর দাদু সুজয় দেবশর্মার কথায়, “ও আমার মেয়ের মেয়ে। সকালে জামাই ফোন করে কান্নাকাটি করছে। শুনেই আমি ছুটে আসি। এসে দেখছি, দু’জন মাঠে ওড়নায় ঝুলছে। আম গাছের মধ্যে একই ওড়নায় ঝুলছে ওরা। কেন যে এমন হল, সেটা তো বলা যায় না। ওরা অল্প বয়সী ছেলে মেয়ে। হয়ত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই এক ডালেই ঝুলে এমন ঘটনা ঘটাল।”