Body Found: পাঁক কাদা ঘেটে টেনে তোলা হল, দৃশ্য দেখে গা গুলিয়ে উঠল এলাকাবাসীর

Body Recover: স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরে হর্ষিত বালার ছেলে সমীর বালা নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Body Found: পাঁক কাদা ঘেটে টেনে তোলা হল, দৃশ্য দেখে গা গুলিয়ে উঠল এলাকাবাসীর
দেহ উদ্ধার চলছে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 8:20 PM

উত্তর দিনাজপুর: এলাকায় মুরগির খামার। দু’ তিন দিন ধরে সেখান থেকে বিচ্ছিরি গন্ধ বের হচ্ছিল। সন্দেহ হয়েছিল এলাকাবাসীর। সোমবার সেই খামারের কাছ থেকেই উদ্ধার হল সমীর বালা নামে এক তরুণের মৃতদেহ। দেহটি মাটির নীচে পুঁতে রাখা ছিল। এই ঘটনার পরই সমীরের বাবা হর্ষিত বালা ও দাদা খোকন বালাকে আটক করে চোপড়া থানার পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সমীরের বাবা ও দাদার হাত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশসুপার শচীন মক্কর জানান, এখনও অবধি নিহতের বাবা ও দাদাকে আটক করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার ভক্তডাঙি গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরে হর্ষিত বালার ছেলে সমীর বালা নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর দাবি, বারবার সমীরের বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, ছেলে বাইরে গেছে। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের বাড়ির পাশে মুরগি খামার থেকে বাজে গন্ধ বের হতে থাকে। সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। দু’দিন ধরে সেই গন্ধ তীব্র হয়। খবর যায় চোপড়া থানায়। এরপরই পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করতেই চক্ষু চড়ক গাছে ওঠে পুলিশের। পাঁক কাদা ঘেটে উদ্ধার হয় দেহ। ভয়ঙ্কর সে দৃশ্য দেখে গা পাকিয়ে ওঠার জোগাড়। দেহটা একেবারে পচে গলে গেছে।

এলাকাবাসীর দাবি, সমীরকে পুঁতে রাখা হয়েছিল মাটির নীচে। ১৫ দিন বাদে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, “শুনছি তো ছেলেকে মেরে ফেলেছে বাবা। ধরে নিয়ে গেছে বাবা, দাদাকে। দোষীরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। আমরা জানতে চাই কেন একটা ছেলেকে এভাবে মারা হল।” অন্যদিকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সাগিরুদ্দিন বলেন, “বেশ কয়েকদিন ধরে সমীর বালাকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় এলাকার লোকজনের। ওদের একটা পোলট্রি ফার্ম আছে। সেখান থেকে খুব বাজে গন্ধ বের হচ্ছিল। সকলে বলাবলি করছিল। এরপরই আমরা আসি চার পাঁচদিন আগে। পুলিশও আসে। ছেলেটার বাবা হর্ষিত বালাকে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলাম। কিন্তু ও কোনও কিছুই বলল না। বারবার বলল, ছেলে বাইরে গেছে। আমরা চলে যাই। তারপর শুনছি ওরা নাকি স্বীকার করেছে মেরে পুঁতে রেখেছিল। আজ চোপড়া থানার আইসি, এসপি, বিডিও এসেছেন।”

কিন্তু কেন এই ঘটনা? স্থানীয় সূত্রে খবর, পুলিশের কাছে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, সমীর প্রায় প্রায়ই মদ্য়পান করে বাবার কাছে সম্পত্তি দাবি করতেন। তা নিয়ে ঝামেলা হত সংসারে। যদিও নিহতের পরিবারের তরফে এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুরে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।