৪৮ ঘণ্টায় শতাধিক কুকুরের মৃত্যু, উদ্বিগ্ন পশুপ্রেমীরা
ধূপগুড়ি এলাকায়, শুধু আড়াই তিন-মাসের কুকুর নয় আরও বড় কুকুরও আক্রান্ত হচ্ছে। প্রত্যেকটিরই উপসর্গ একই। রক্ত পায়খানা এবং ভেদ বমি প্রাথমিক উপসর্গ।
জলপাইগুড়ি: একদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি, অন্যদিকে মারা যাচ্ছে একের পর এক পথ কুকুর (Stray Dogs)। গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় শতাধিক কুকুরের (Stray Dogs) মৃত্যুতে বিপদের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অধিবাসীরা।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় শতাধিক কুকুরের (Stray Dogs) মৃত্যু হয়েছে। একযোগে এত কুকুরের মৃত্যুতে রীতিমতো শঙ্কিত এলাকাবাসী। স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁদের ওয়ার্ডে একযোগে দশটি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। এরকম ভাবে প্রত্যেক পাড়াতেই কমপক্ষে দশ পনেরোটি করে কুকুর রোজ মারা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি, ফের আহত চিতাবাঘ
পশু চিকিৎসকদের একাংশের অনুমান, কোনও কীটনাশক থেকে বা কোনও সংক্রামক রোগের থেকে এই মৃত্যু ঘটছে। সম্ভবত, এই সংক্রামক রোগটির নাম কেনিয়ান কার্গো।
কী এই কেনিয়ান কার্গো?
চিকিৎসকরা বলছেন, কেনিয়ান কার্গো এক বিশেষ ধরনের সংক্রমণ যা মূলত আড়াই মাস বা তিন মাসের কুকুর ছানাদের হয়ে থাকে।
ধূপগুড়ি এলাকায়, শুধু আড়াই তিন-মাসের কুকুর নয় আরও বড় কুকুরও আক্রান্ত হচ্ছে। প্রত্যেকটিরই উপসর্গ একই। রক্ত পায়খানা এবং ভেদ বমি প্রাথমিক উপসর্গ। এছাড়াও, অনেক কুকুরেরই (Stray Dogs) পা বসে যাচ্ছে বা প্যারালিসিস হয়ে যাচ্ছে। কোনও কোনওটি এক জায়গায় শুয়ে থেকে হঠাৎ মারা যাচ্ছে। পশু বিশেষজ্ঞদের মত, কেনিয়ান কার্গো এতগুলি কুকুরের মধ্যে একসঙ্গে সংক্রমিত হতে পারেনা।
স্থানীয়দের দাবি, ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময়ে চুরি হচ্ছে। যে পাড়ায় একাধিক কুকুর (Stray Dogs) সেই পাড়ায় চুরি হয়না। আর সেই পাড়াগুলিতেই মারা যাচ্ছে কুকুর। তাই, পরিকল্পনা কোনও ভাবে বিষ বা কীটনাশক দিয়ে মারা হচ্ছে কুকুরদের। ধূপগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে।