‘এ তো দুয়ারে করোনা!’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পেতে কোভিড বিধি উড়িয়েই জেলায় জেলায় লম্বা লাইন

Duare Sarkar: সোমবার দুয়ারে সরকারে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন কামারপুকুরের তিন মহিলা। তাঁদের মধ্যে একজন কে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

'এ তো দুয়ারে করোনা!', 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' পেতে কোভিড বিধি উড়িয়েই জেলায় জেলায় লম্বা লাইন
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2021 | 7:21 PM

কলকাতা: ফের শুরু হয়েছে রাজ্যের প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’। ‘স্বাস্থ্য সাথী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর ফর্ম নিতে সকাল থেকে জেলার শিবিরগুলিতে লম্বা লাইন। এ লাইন দেখে কারও বোঝার জো নেই দেশজুড়ে মহামারির প্রকোপ চলছে। এ রাজ্যও খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। বিরোধীরা বলছে, এ তো ‘দুয়ারে সরকার’ নয়, ‘দুয়ারে করোনা’।

সোমবার দুয়ারে সরকারে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন কামারপুকুরের তিন মহিলা। তাঁদের মধ্যে একজন কে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরজনকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাই জল, হাওয়া দিতে শুরু করেন। একই ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানা এলাকায়। স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম নেবেন বলে সকাল থেকে লম্বা লাইন। গিজগিজ করছে মানুষের মাথা। অথচ এখনও রাজ্য়জুড়ে অতিমারি আইন বলবৎ রয়েছে। রয়েছে একাধিক বিধি নিষেধ জারি।

মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম নেওয়ার জন্য শ’য়ে শ’য়ে মহিলা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সকাল থেকে। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় ভগবন্তপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে। একে তো এত মানুষের ভিড়, তার উপর প্যাচপ্যাচে গরম। মুখে কারও মাস্ক নেই। কর্তৃপক্ষ অবশ্য, শিবিরের সামনে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের মতো লিখে দিয়েছে, ‘মাস্ক পরা আবশ্যক’। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রয়োগই দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় ভোর পাঁচটা থেকে হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। মুখে মাস্ক নেই অধিকাংশেরই। সংক্রমণের ভয়ে কেউ কেউ সরকারি সুবিধা পাওয়ার আশা ছেড়ে বাড়িও ফিরে যান। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। প্রশাসনের কাছে অনেকেই দাবি তুলেছেন, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সংসদ ভিত্তিক এই শিবির চালু করা হোক। তাতে অন্তত সংক্রমণ ঠেকানো যাবে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর ব্লকে মোট ১১ টি ক্যাম্প করা হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পেই একই ছবি। সকাল থেকেই ক্যাম্পগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছেন দুই বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও লাভলি মৈত্র। সকাল থেকে সোনারপুরের বিডিও সৌরভ ধল্লও একাধিক ক্যাম্পে ঘোরেন। কোভিড নিয়ে সচেতন থাকার বার্তাও দেন। তবে এ ভাবে দুয়ারে সরকার করলে সেই সংক্রমণ কতটা প্রতিহত করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

পূর্ব মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী ব্লক থেকে পুরুলিয়া অযোধ্যা পাহাড়ে সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকা কিংবা উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে ডুয়ার্স সর্বত্রই এদিন দুয়ারে সরকারের শিবির খোলা হয়। সব জায়গাতেই করোনা বিধি অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। আরও পড়ুন: আড়াই বছরের শিশুর অস্ত্রোপচার করে বেডে দিতেই চেঁচিয়ে ওঠেন মা! ‘এ কী কাণ্ড করেছেন আপনারা…’