AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Earthquake: ভোরে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড, সুনামির আশঙ্কায় জারি সতর্কতা

New Zealand Earthquake: রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১। ভূমিকম্পের মাত্রা অনেক বেশি হওয়ায়, বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Earthquake: ভোরে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড, সুনামির আশঙ্কায় জারি সতর্কতা
প্রতীকী ছবি।
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 8:49 AM
Share

ওয়েলিংটন: হঠাৎ থরথর করে কাঁপতে শুরু করল বাড়ি, ভেঙে মাটিতে পড়তে থাকল সাজিয়ে রাখা সমস্ত জিনিসপত্র। সাতসকালেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। বৃহস্পতিবার সকালে নিউজিল্যান্ডের কেরমাডেক দ্বীপে (Kermadec Islands) শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১। ভূমিকম্পের মাত্রা অনেক বেশি হওয়ায়, বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের জেরে সুনামিও (Tsunami) আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় নিউজিল্যান্ডের কেরমাডেক দ্বীপে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের মাত্রা অনেকটাই বেশি হওয়ায় বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। মার্কিন সুনামি ওয়ার্নিং সিস্টেমের তরফে ওই দ্বীপের আশেপাশে ৩০০ কিলোমিটাক এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করে। তবে ওই সীমার মধ্য়ে অধিকাংশ ভূপৃষ্ঠই জনমানবহীন দ্বীপ হওয়ায়, সুনামিতে বিশেষ প্রাণহানির সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়।

মার্কিন বিভাগের তরফে সুনামির সতর্কতা জারি করা হলেও, পরে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তরফে জানানো হয়, ভূমিকম্পের পরে নিউজিল্যান্ডে সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই। ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর মেলেনি। তবে এলাকা পরিদর্শনের পরই এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো সম্ভব হবে বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আফটারশকের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম বড় দুটি টেকটোনিক প্লেট- প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের মাঝে অবস্থিত হওয়ায় নিউজিল্যান্ড অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ। ‘রিং অব ফায়ার’, যেখানে সবথেকে বেশি সিসমিক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়, ঠিক তার লাগোয়া অংশেই অবস্থান নিউজিল্যান্ডের। সেই কারণে প্রতি বছরই নিউজিল্য়ান্ডে ছোট-বড় বহু ভূমিকম্প হয়।