Joe Biden: মার্কিন ড্রোন হামলায় ৯/১১ হামলার মূলচক্রী খতম, জানালেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন
Afghanistan: আল-জাওয়াহিরি মিশনের রাজধানী কায়রোতে জন্মগ্রহণ করে সেখানেই বড় হয়েছেন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ দেওয়ার আগে তিনি শল্য চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওয়াশিংটন: সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় বড় সাফল্য আমেরিকা (USA)। কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে (Ayman al-Zawahiri) হত্যা করা হয়েছে, সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এ কথা ঘোষণা করেছেন। আল-জাওয়াহিরি গোটা বিশ্বের অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি ছিলেন। এমনকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার (9/11 Attack) পিছনে তিনিই ছিলেন অন্যতম মূলচক্রী। নিজের টেলিভিশন বক্তৃতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, শনিবার আফগানিস্তানে কাবুলে অভিযান চালিয়ে আল-জাওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়েছে। ‘আল-জাওয়াহিরিকে নিকেশ করতে আমি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিলাম… বিচার হয়েছে এবং জঙ্গি নেতা মারা গিয়েছেন।’, বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন জানিয়েছেন, মার্কিন অভিযানে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়নি।
বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ চালিয়ে কাবুলের একটি বাড়ির বারান্দায় আল-জাওয়াহিরিকে খতম করা হয়েছে। প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, আল-জাওয়াহিরিকে হত্যা করতে আফগানিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনা-জওয়ানরা পা দেননি। তাদের মতে, ২০২০ সালে দোহাতে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার যে চুক্তি সই হয়েছিল, কাবুলে আল-জাওয়াহিরির উপস্থিতি স্পষ্টতই সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। ৩১ অগস্ট ২০২১-এ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর জঙ্গি নিকেশ করতে এই প্রথম আকাশ পথে অভিযান চালালো আমেরিকা।
আল-জাওয়াহিরি মিশরের রাজধানী কায়রোতে জন্মগ্রহণ করে সেখানেই বড় হয়েছেন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ দেওয়ার আগে তিনি শল্য চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৯/১১ হামলার পর থেকে প্রায় দীর্ঘ কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের মার্কিন অভিযানে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়াদার গুরু দায়িত্ব জাওয়াহিরি কাঁধে পড়েছিল। মার্কিন প্রশাসনের তরফে এই কুখ্যাত জঙ্গি নেতার মাথার দাম আড়াই কোটি মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছিল। তবে তালিবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে আক্রমণের ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তালিবানের তরফে জানানো হয়েছিল কাবুলের একটি খালি বাড়িতে জঙ্গি হামলা হয়েছে এবং কারও মৃত্যু হয়নি।