নৃশংস তালিব! বিমানবন্দরের বাইরে লাইন বাঁকা কেন, চাবুক দিয়ে মার সাধারণ আফগানিদের
Afghanistan: তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল ভাল কথা বললেও আদতে এই জঙ্গি সংগঠনের নিচু তলার যে পরিকাঠামো, তাদের উপর শীর্ষ নেতৃত্বের যে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ নেই এ ছবি সে কথাই বলছে।
কাবুল: ভাল মানুষির মুখোশ খুলতে শুরু করেছে তালিবান। কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের গায়ে চাবুক মারার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেন এই চাবুক মারা? তাঁরা যেন ঠিক করে লাইনে দাঁড়ায়, সে কারণেই এই নৃশংসতা।
তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল ভাল কথা বললেও আদতে এই জঙ্গি সংগঠনের নিচু তলার যে পরিকাঠামো, তাদের উপর শীর্ষ নেতৃত্বের যে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ নেই এ ছবি সে কথাই বলছে। শীর্ষ নেতৃত্ব ঠান্ডা ঘরে বসে যখন সহিষ্ণুতার বার্তা দিচ্ছে, মানবতার কথা বলছে, কারও উপর বদলা না নেওয়ার কথা বলছে! তখনই জঙ্গি সংগঠনের নিচু তলার সদস্যদের সেই পাশবিক চেহারাই ফুটে উঠছে। সারা বছর হাতে বন্দুক নিয়ে যারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বপ্ন দেখে, তাদের যে নিয়ন্ত্রণে রাখা কতটা কঠিন আফগানিস্তান থেকে ভাইরাল হওয়া একের পর এক ভিডিয়ো সে বার্তাই দিচ্ছে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল অবধি যখন তালিবানদের দখলে ছিল আফগানিস্তান, তখনই চালু করা হয়েছিল শরিয়া আইন। সেখানে যেমন স্বামী বা রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন পুরষসঙ্গী ছাড়া বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল, তেমনই শিক্ষা, চাকরি করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। মার্কিন সেনা অভ্যুত্থানের পর আফগান সরকারের অধীনেই ধীরে ধীরে সেই অধিকার ফিরে পেয়েছিল আফগানিস্তানের মহিলারা। কিন্তু রবিবার এক লহমায় বদলে গেল সবকিছু।
#Taliban side is more calm.#kabulairport #Afghanistan#AfghanWomen pic.twitter.com/5sJ69CQtNp
— Aisha Ahmad (@AishaTaIks) August 19, 2021
ক্ষমতার মসনদে বসার পরই সাংবাদিক বৈঠক করে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। মুজাহিদ বলেছিল, “বিদেশি শক্তিকে তাড়িয়ে আমরা স্বাধীনতা এনেছি। আমরা বদলার পথে হাঁটব না কোনও সংঘর্ষ চাই না আমরা। শীঘ্রই শক্তিশালী ইসলামিক তৈরি সরকার হবে। মহিলাদের সমস্ত অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সর্বত্র তাঁরা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। শরিয়ত আইনের অধীনে থেকেই মহিলারা সব কাজ করতে পারবেন।”
বোনদের আগলে রাখার কথা বলেছিল তালিব-মুখপাত্র
গত ১৭ অগস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বলেছিল, দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কাউকে কোনও চিন্তা করতে হবে না। দেশের শৃঙ্খলা বজায়ের পাশাপাশি দেশ যাতে আর্থিক ভাবে উন্নত হয় সেদিকও তারা দেখবে বলে জানিয়েছে। মেয়েরা তাদের কাছে বোন। বোনদের সব সময় তারা আগলে রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। আরও পড়ুন: আফগান-নারীদের চিন্তায় উদ্বিগ্ন মালালা, মনে পড়ছে কী ভাবে তাঁকে মারতে চেয়েছিল তালিব-শক্তি