North Korea COVID-19: এপ্রিলের শেষ থেকেই ‘অজানা জ্বরে’ আক্রান্ত লক্ষাধিক, ৬ জনের মৃত্যুতে ফাঁস হল রহস্য!

North Korea COVID-19: প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ বাসিন্দার জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে মঙ্গলবারই ১৮ হাজার বাসিন্দার উপসর্গ ধরা পড়েছে।

North Korea COVID-19: এপ্রিলের শেষ থেকেই 'অজানা জ্বরে' আক্রান্ত লক্ষাধিক, ৬ জনের মৃত্যুতে ফাঁস হল রহস্য!
করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই কঠোর হল প্রশাসন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 1:50 PM

প্যাংগং: আড়াই বছর ধরে বজ্র আঁটুনি ছিল দেশে। কিন্তু করোনাকে ফাঁকি দেওয়া কি এতই সোজা? ঠিক ফাঁক বুঝে দেশে ছড়িয়ে পড়ল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবারই উত্তর কোরিয়া(North Korea) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, দেশে প্রথম করোনা (COVID-19) আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই খবরের একদিন পরই জানা গেল, জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এদের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিল মাসের শেষ ভাগ থেকেই দেশে অজানা জ্বর (Mysterious Fever) ছড়িয়ে পড়েছিল। মনে করা হচ্ছে, ওই সময়েই দেশে ওমিক্রনের বিএ.২ সাব ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষভাগ থেকেই দেশে অজানা জ্বর ছড়িয়ে পড়েছিল। এখনও অবধি ৬ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে অজানা জ্বরে। এদের মধ্যে একজন ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৮০০ নাগরিকের চিকিৎসা চলছে। তারা সবাই জ্বরে আক্রান্ত বলেই জানা গিয়েছে। একান্তবাসে রাখা হয়েছে তাদের।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ বাসিন্দার জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে মঙ্গলবারই ১৮ হাজার বাসিন্দার উপসর্গ ধরা পড়েছে। এখনও অবধি প্রায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার বাসিন্দার চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি।

মঙ্গলবারই উত্তর কোরিয়ার প্রশাসক কিম জং উন অ্যান্টি-ভাইরাস কম্যান্ড সেন্টারে যান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। এরপরই তিনি জানান যে দেশে কঠিনতম ‘জরুরি অবস্থা’র সৃ্ষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। দেশের কেন্দ্রস্থলেই সবথেকে বেশি জ্বরে আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। সেই কারণেই যাদের জ্বরের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাদের একান্তবাসে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওষুধ সরবরাহের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শুরু হচ্ছে গণ করোনা পরীক্ষা।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও এখনও টিকাকরণের বিরুদ্ধেই উত্তর কোরিয়া সরকার। এর আগে চিন, রাশিয়া, এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও করোনা টিকা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, তা খারিজ করে দেয় কিম প্রশাসন। অন্যদিকে, মার্কিন প্রশাসনের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তর কোরিয়াকে টিকা দিয়ে সাহায্য করার কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।