Turkey earthquake: মরার উপর খাড়ার ঘা, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তুরস্কে ফের ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

Turkey earthquake: ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ফের জোরালো ভূমিকম্পের মুখে পড়ল তুরস্ক-সিরিয়া। এবার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৫।

Turkey earthquake: মরার উপর খাড়ার ঘা, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তুরস্কে ফের ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
প্রথম ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে চলছে উদ্ধারকাজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2023 | 5:58 PM

আঙ্কারা: কথায় বলে, এক জায়গায় দুইবার বজ্রপাত হয় না। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই ফের জোরালো ভূমিকম্পের মুখে পড়ল তুরস্ক-সিরিয়া। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে একটি আরও এক জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মধ্য তুরস্কের কাহরামানমারস প্রদেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৫। তবে তুরস্ক কর্তৃপক্ষের মতে, এই ভূমিকম্প ছিল ৭.৬ মাত্রার। সিরিয়ার সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, নতুন করে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে দামাস্কাস, লাতাকিয়া-সহ সিরিয়ার বেশ কয়েকটি প্রদেশেও। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির জেরে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

এর আগে, এদিন ভোরেই ৭.৮ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ার এক বিস্তীর্ণ অংশ। স্থানীয় সময় ভোর ৪টে নাগাদ ভূমিকম্পটি হয়েছিল। তারপর থেকে এই অঞ্চলে একাধিক জোরালো আফটার শক অনুভূত হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পটির জেরে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যে ১২০০ ছাড়িয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আরও বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে আছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এদিন ভোরে যে সময় প্রথম ভূমিকম্পটি হয়, সেই সময় তুরস্ক এবং সিরিয়ার অধিকাংশ বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। ভূমিকম্পের কারণে আতঙ্কিত বাসিন্দারা প্রবল ঠান্ডা, বৃষ্টি ও তুষারপাতের মধ্য়েই ছুটে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তারপর থেকে বিশাল বিশাল কংক্রিটের স্তূপের মধ্যে জীবনের সন্ধান চলছে। তুরস্কের একটি হাসপাতালও ধসে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ পরিচালনার জন্য একটি দল পাঠানো হচ্ছে। তাদের সঙ্গে থাকছে ওষুধপত্র এবং ত্রাণ সামগ্রী। শুধু ভারত সরকার নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন-সহ বহু দেশ তুরস্কের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে ভূমিকম্প তুরস্কে কোনও নতুন বিষয় নয়। মহাদেশীয় প্লেটগুলির সংঘর্ষে যে চ্যুতি বা ফল্ট তৈরি হয়, তার ফলেই ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। তুরস্ক এরকমই একটি প্রধান ফল্ট লাইন বা চ্যুতিরেখার উপরে অবস্থিত। এই কারণেই প্রায়শই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে আরও এক শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল, যার জেরে প্রায় ১৮,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।