Salman Rushdie: শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি, লাইফ সাপোর্টে রাখা হল সলমন রুশদিকে

Salman Rushdie Health Update: গতকালই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায়, তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।

Salman Rushdie: শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি, লাইফ সাপোর্টে রাখা হল সলমন রুশদিকে
সলমন রুশদি। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2022 | 6:51 AM

নিউইয়র্ক: আরও সঙ্কটে সলমন রুশদি। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে তাঁর। শনিবারই জানা গিয়েছিল, ছুরিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে। এবার ভেন্টিলেটর থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে স্থানান্তর করা হল। শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে বুকারজয়ী লেখকের। তিনি একটি চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন।

শুক্রবার নিউইয়র্কের শতকা ইন্সটিটিউনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সলমন রুশদি। সেখানেই তাঁর উপরে হামলা হয়। হাদি মাতার নামক বছর ২৪-র এক যুবক আচমকাই মঞ্চে উঠে রুশদির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং একের পর এক ছুরির কোপ মারতে থাকে গলায়, ঘাড়ে ও পেটে। গুরুতর আহত অবস্থায় এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সলমন রুশদিকে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু গতকালই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায়, তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।

সলমন রুশদির বইয়ের এজেন্ট অ্যান্ডু ওয়াইলি গতকালই জানিয়েছিলেন, রুশদির শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। গলায় ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাতের কারণে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠলেও একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন রুশদি। তাঁর হাতের স্নায়ুও ছুরি দিয়ে ফালা ফালা করে দেওয়া হয়েছে। যকৃৎও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছুরির আঘাতে। এরপর গতকাল তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। চিকিৎসায় সাড়া দেওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন ৭৫ বছরের লেখক।

উল্লেখ্য়, ১৯৮০-র দশক থেকেই সলমন রুশদির উপরে মৃত্যুখাঁড়া ঝুলছিল। ১৯৮৮ সালে তাঁর লেখা “দ্য স্যাটানিক ভার্সেস” বই নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। মৌলবাদীদের ক্রোশানলের শিকার হন তিনি। তৎকালীন ইরানের প্রধান আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি। এরপরই ব্রিটিশ সরকারের তরফে সলমন রুশদির জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘ সময় তিনি গা ঢাকা দিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন হামলার ভয়ে। সেই ভয়ই সত্যি হল শুক্রবার। ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ লেখার ৩৪ বছর পরে।

রুশদির উপরে এমন প্রাণঘাতী হামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিশ্বনেতারাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ, সকলেই এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।