AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা: ১৪ ইসলামিক জঙ্গিকে গুলি করে মারার নির্দেশ আদালতের

যদি কোনও কারণে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দোষীদের মৃত্যু না ঘটে সেক্ষেত্রে ফাঁসিতে ঝোলানোর সাজা দিয়েছে আদালত। এই সাজা শুনিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান।

শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা: ১৪ ইসলামিক জঙ্গিকে গুলি করে মারার নির্দেশ আদালতের
ফাইল চিত্র
| Updated on: Mar 23, 2021 | 11:28 PM
Share

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) হত্যার ষড়যন্ত্র করায় ১৪ ইসলামিক জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল ঢাকার একটি দ্রুত বিচার আদালত। আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ২০০০ সালে হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় তাঁর একটি জনসভা স্থলে বোমা রাখা হয়েছিল। সেই মামলায় জড়িত ১৪ জঙ্গিকে এ দিন ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তবে যদি কোনও কারণে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দোষীদের মৃত্যু না ঘটে সেক্ষেত্রে ফাঁসিতে ঝোলানোর সাজা দিয়েছে আদালত। এই সাজা শুনিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান। সাজা শুনিয়ে তিনি বলেন, এরূপ ঘটনার পুরনাবৃত্তি যাতে আর কখনও না ঘটে সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লা ভুঁইয়াকে বলতে শোনা যায়, অবশেষে অভিযুক্তদের দোষী প্রমাণ করা গেল। আসামিদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে তবেই এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব।

শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পিছনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকতুল জিহাদ বাংলাদেশ নামক গোষ্ঠীর নাম উঠে আসে। ২০০০ সালের ২০ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাস্থলের পাশের একটি দোকানে প্রায় ১০০ কেজি বোমা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: সপাটে চড় কষালেন নেতাকে, প্রচারে রণংদেহী মানস

এরপর ২০১৭ সালে ১০ দোষীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত। জেল সাজা হয় ১৩ জনের। এরপর উচ্চ আদালতে আপিল করলেও সাজা বহাল রাখা হয়। এর পাশাপাশি ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় পৃথক চার্জশিট গঠন করা হয়। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় গত ১১ মার্চ। সাজা ঘোষণার দিন ঠিক হয় ২৩ মার্চ। সেই মতো এ দিন সাজা শোনাল আদালত।

আরও পড়ুন: ‘কুৎসা না করলে এঁদের চলে না,’ শতরূপকে আক্রমণ কবীর সুমনের