Sheikh Hasina: টাইমস ম্যাগাজিনের কভারে শেখ হাসিনা, প্রকাশিত হল বিশেষ প্রতিবেদনও

Times Magazine: টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পর পুনরায় ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় অবধি ক্ষমতায় থাকা বিশ্বের দীর্ঘতম নারী পরিচালিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ইসলামপন্থী ও  সামরিক বাহিনী-উভয়কেই দমন করার কৃতিত্ব রয়েছে হাসিনার।

Sheikh Hasina: টাইমস ম্যাগাজিনের কভারে শেখ হাসিনা, প্রকাশিত হল বিশেষ প্রতিবেদনও
টাইমস ম্যাগাজিনের কভারে শেখ হাসিনা।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2023 | 8:04 AM

ঢাকা: টাইম ম্যাগাজিনে স্থান পেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ম্যাগাজিন টাইম ম্যাগাজিনের (Times Magazine) কভার ছবিতেই দেখা গেল শেখ হাসিনাকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরেই টাইম ম্যাগাজিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেয়। সেই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বিগত এক দশকে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ’ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পর পুনরায় ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় অবধি ক্ষমতায় থাকা বিশ্বের দীর্ঘতম নারী পরিচালিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ইসলামপন্থী ও  সামরিক বাহিনী-উভয়কেই দমন করার কৃতিত্ব রয়েছে হাসিনার। মার্গারেট থ্যাচার বা ইন্দিরা গান্ধীর থেকেও বেশি সংখ্যক নির্বাচনে জয়লাভের পর শেখ হাসিনা আগামী জানুয়ারিতেই ফের ব্যালট বাক্সের যুদ্ধে নামবেন। ফের একবার ক্ষমতায় ফিরতে বদ্ধপরিকর হাসিনা। টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী যে জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে। তারাই আমার মূল শক্তি”।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি রক্ষা কমিটিতে সদস্য সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবদান সবচেয়ে বেশি। দেশটি নিয়মিত ইন্দো মার্কিন-প্যাসিফিক কমান্ডের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস। এমনকী বাংলাদেশি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও শীর্ষ দেশ আমেরিকা। প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকেও বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়।

বাংলাদেশের নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কেও শেখ হাসিনা আত্মরক্ষামূলক মনোভাব পোষণ করে বলেন, “আপনি যা কিছু করেন, কিছু মানুষ সবসময় এর বিরোধিতা করে। আমি এখানে এসেছি শুধু আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য।” তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাকে উৎখাত করা এত সহজ নয়। আমি আমার জনগণের জন্য মরতে প্রস্তুত।”

টাইমসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশোর অর্থনৈতিক সাফল্যেরও প্রশংসা করা হয়েছে। ২০০৬ সালে যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৭১ বিলিয়ন ডলার জিডিপি , তা ২০২২ সালে বেড়ে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের পরে, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। সামাজিক সূচকগুলিও উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের ৭১ শতাংশ মেয়েরা আজ প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। স্যামসাংয়ের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিন থেকে সাপ্লাই চেইন সরিয়ে বাংলাদেশে হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা শুধু প্রতিশ্রুতি পেতে চাই না, উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।”