Bangladesh Metro Service: এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও গড়াবে মেট্রোর চাকা, কেমন হবে যাত্রী পরিষেবা?

Bangladesh Metro Service: সূত্রের খবর, মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যেই মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন। যথাযথ নথি দেখালেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

Bangladesh Metro Service: এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও গড়াবে মেট্রোর চাকা, কেমন হবে যাত্রী পরিষেবা?
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 8:00 AM

ঢাকা: উন্নত পরিবহন ব্যবস্থায় আরও এক ধাপ এগল বাংলাদেশ (Bangladesh)। এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও শুরু হচ্ছে মেট্রো রেল পরিষেবা (Metro Service)। ইতিমধ্যেই জোরকদমে চলছে সেই পরিষেবা চালুর কাজ। পরিকল্পনামাফিক কাজ শেষ হলে,আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু হতে পারে। বাংলাদেশের ‘বিজয় দিবসে’র দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপের মেট্রো পরিষেবা চালু করার জন্য। মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম দফায় আপাততত উত্তরা থেকে আগারগাঁও অবধি মেট্রো পরিষেবা চালু হবে। আপাতত ১০টি রেক তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক রেকে ৬টি করে বগি বা কামরা থাকবে। জাপান থেকে আনা হয়েছে রেকগুলি।

১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের মেট্রো পরিষেবা চালু হলে, প্রাথমিকভাবে ১০ মিনিট অন্তর মেট্রো চালানো হবে। পরে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সাড়ে ৩ মিনিট অন্তর মেট্রো চালানো হবে। ভোর থেকে শুরু হবে মেট্রো পরিষেবা, চলবে মধ্য রাত অবধি। ভাড়াও সাধ্যের মধ্যেই রাখা হয়েছে। ন্যূনতম ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ২০ টাকা। এরপরে প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা করে ভাড়া বাড়বে।

কলকাতা মেট্রোর মতো বাংলাদেশেও মেট্রো কার্ড পরিষেবা পাওয়া যাবে। সাপ্তাহিক, মাসিক থেকে শুরু করে পারিবারিক কার্ড, বিভিন্ন ধরনের কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে। এছাড়া টোকেনের মতো কার্ডও পাওয়া যাবে, যা মাত্র একবার এক গন্তব্য থেকে অন্য গন্তব্য়ে পৌছে দিতে সাহায্য করবে। তবে সাপ্তাহিক, মাসিক কার্ডের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে।

সূত্রের খবর, মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের পরিবারের সদস্যরা বিনামূল্যেই মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন। যথাযথ নথি দেখালেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হবে। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিদেশের মতো বাংলাদেশেও স্বয়ংক্রিয় দরজা লাগানো হয়েছে প্রত্যেকটি স্টেশনে। মেট্রো স্টেশনে পৌঁছনোর পরই একমাত্র দরজা খুলবে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর দরজা বন্ধও হয়ে যাবে।

কলকাতায় যেমন কার্ড বা টোকেন পাঞ্চ করে মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে হয়, সেই রকম ভাবেই বাংলাদেশের মেট্রোতেও কার্ড পাঞ্চ করেই যাতায়াত করতে হবে। জানা গিয়েছে, আপাতত জাপান থেকে আসা চালকরাই এই মেট্রো চালাবেন। পরে বাংলাদেশি চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।