কাল থেকে ফের ঢাকা-কলকাতা উড়ান

Dhaka - Kolkata Flight : আপাতত বাংলাদেশি উড়ান সংস্থার সপ্তাহে সাতটি করে বিমান ভারতে যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে এক সংখ্যাটি দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

কাল থেকে ফের ঢাকা-কলকাতা উড়ান
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 4:08 PM

ঢাকা : দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার এবার অবসান হতে চলেছে। আবার আকাশপথে মিলবে দুই বাংলা। আগামিকাল থেকেই ঢাকা – কলকাতা উড়ান পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি উড়ান সংস্থা বিমান এবং ইউএস-বাংলা আগামিকাল থেকে ভারত – বাংলাদেশ বিমান পরিষেবা চালু করছে। করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিবহন।

কলকাতা ছাড়াও দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের বিমানও কাল থেকে চালু করে দিচ্ছে ইউএস বাংলা উড়ান সংস্থা। তবে নভোএয়ার উড়ান সংস্থার কোনও বিমান এখনই চালু হচ্ছে না। নভোএয়ার কর্তৃপক্ষের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা এয়ার বাবল চুক্তির মধ্যে থাকতে আগ্রহী নয়।

এয়ার বাবল চুক্তি হল করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশের আন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহনের এক সাময়িক বোঝাপড়া। এই চুক্তির আওতায় নিয়মিত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে কিছু বিমান চালু করে দেওয়া হয়। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশের উড়ান সংস্থাই অংশগ্রহনের অধিকার পায়। এক্ষেত্রে মাঝে কোনও ট্রানজ়িট থাকে না। সরসরি একটি স্থান থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায় বিমানগুলি।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ২৮ অগাস্ট ভারতের থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য । সেই চিঠিতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে উড়ান চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করে জানানো হয়, ৪ সেপ্টেম্বর থেকে তারা ভারতের সঙ্গে বিমান পরিষেবা চালু করতে প্রস্তুত।

যতদিন পর্যন্ত না করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এয়ার বাবল চুক্তির আওতাতেই উড়ান পরিষেবা চালু রাখা হবে। ভারত থেকে আগত বিমানযাত্রীদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে। এছাড়া আরটিপিসিআর পরীক্ষাও করাতে হবে।

শুধু তাই নয়, আরও একাধিক ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। প্রতিটি বিমানের ১০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বাংলাদেশি উড়ান সংস্থার সপ্তাহে সাতটি করে বিমান ভারতে যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে এক সংখ্যাটি দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে বিমান উড়ান সংস্থার সপ্তাহে দু’টি করে বিমান ঢাকা থেকে কলকাতা এবং ঢাকা থেকে দিল্লি যাতায়াত করবে। ইউএস বাংলা উড়ান সংস্থার তিনটি করে বিমান ঢাকা থেকে চেন্নাই যাতায়াত করবে। ইউএস বাংলার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বিমান যাত্রীকে সফরের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে তবেই তাঁরা বিমানে উঠতে পারবেন। এছাড়া চেন্নাই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর প্রত্যেক যাত্রীকে নিজ খরচে মলিকিউল টেস্ট করাতে হবে। আরও পড়ুন : করোনায় দোসর ডেঙ্গু ! দুশ্চিন্তা বাড়ছে ঢাকায়