Train derailed: প্রচণ্ড গরমে বেঁকে গিয়েছে রেললাইন, লাইনচ্যুত ট্রেনের ৭টি বগি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে দারিয়াপুর এলাকায় পৌঁছতেই ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনার জেরে এদিন চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

Train derailed: প্রচণ্ড গরমে বেঁকে গিয়েছে রেললাইন, লাইনচ্যুত ট্রেনের ৭টি বগি
বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2023 | 8:44 PM

ঢাকা: প্রচণ্ড গরমে রেললাইন বেঁকে গিয়েছে। যার ফলে লাইনচ্যুত (derailed) হয়ে গেল ট্রেনের ৭টি বগি। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের কাছে। তবে ট্রেনটি মালবাহী হওয়ায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল মালবাহী ট্রেনটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে দারিয়াপুর এলাকায় পৌঁছতেই ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তারপর খবর পেয়ে রেলকর্মী ও আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইনচ্যুত বগিগুলিকে উদ্ধার করে। এই দুর্ঘটনার জেরে এদিন চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে রেল সূত্রে খবর। যদিও কী ভাবে রেললাইন বেঁকে গেল, তা স্পষ্ট নয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, মূলত প্রচণ্ড গরমের জন্যই রেললাইন বেঁকে যায় এবং তার ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইনের স্লিপার ভেঙে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড গরম পড়েছে গোটা বাংলাদেশে। আর স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে রেললাইনে তাপমাত্রার পরিমাণ সব সময়ই বেশি থাকে। ফলে রেললাইন বেঁকে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১১ এপ্রিল ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের বিভিন্ন অংশে গতি কমিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার এবং মালবাহী ট্রেনগুলি ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। যত দিন তাপমাত্রা বেশি থাকবে, এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, যেখানে লাইন বাঁকা হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেই ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ ৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত জল কিংবা কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন ঠান্ডা করা হচ্ছে।