স্মার্টফোন ব্যবহারে নেপাল-পাকিস্তানের থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ, কী অবস্থা ভারতের?
জিএসএমের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৬৯ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ভারতে, পাকিস্তানে এই সংখ্যাটা ৫১ শতাংশ।
ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) মোট যতজন মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ব্যবহার করেন, তার মধ্যে স্রেফ ৪১ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে স্মার্টফোন। এই শতাংশের বিচারে নেপাল-পাকিস্তানের থেকেও পিছিয়ে হাসিনার দেশ। মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন জিএসএমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোবাইল সংযোগ রয়েছে ১৭ কোটি মানুষের। যার মধ্যে ইউনিক ইউজার অর্থাৎ যাঁদের একাধিক সিম কার্ড থাকলেও একজন বলে ধরা হয় তারা স্রেফ ৫৪ শতাংশ।
জিএসএমের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ৬৯ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন ভারতে, পাকিস্তানে এই সংখ্যাটা ৫১ শতাংশ। নেপালে মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ৫৩ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, শ্রীলঙ্কায় মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ৬০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। আর বাংলাদেশে এই অঙ্কটাই স্রেফ ৪১ শতাংশ।
এই পিছিয়ে থাকার কারণে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সে দেশের স্মার্টফোনের ওপর জারি থাকা উচ্চ করকেই দায়ী করেছেন। তবে বাংলাদেশে ফোর-জি ইন্টারনেটের রমরমা বেড়েছে। ২০২০ সালের মধ্যেই সে দেশের ৯৫ শতাংশ স্থানে ফোর-জি কানেকশন পৌঁছেছে। যা ২০১৮ সালে ছিল ৭৯ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ভারতে ৯৯ শতাংশ জায়গায় ফোর-জি কানেকশন রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপালে এই অঙ্কটা যথাক্রমে ৯৩, ৮০ ও ৭৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের একাধিক এলাকায় ফোর-জি ইন্টারনেট পৌঁছলেও সে দেশে মুঠোফোনে ফোর-জি কানেকশন ব্যবহার করেন স্রেফ ২৮ শতাংশ মানুষ। ৪৭ শতাংশ ব্যবহার করেন ২জি, ২৮ শতাংশ মুঠোফোনে ব্যবহৃত হয় ৩জি।
জিসিএমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে একটি মোবাইল কিনতে যে পরিমাণ কর দিতে হয়, তা ভারত বা পাকিস্তানের থেকে অনেকটাই বেশি। তার জন্যই বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারে এখনও অনীহা রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদেরও।
আরও পড়ুন: এক ডোজ়েই কামাল ফাইজ়ার-মডার্নার, প্রতিরোধ গড়ে উঠছে ৮০ শতাংশ