Bangladesh: আমেরিকার ভিসা নীতিতে চাপ বাড়ছে হাসিনা সরকারের! কেন খুশি বাংলাদেশের বিরোধীরা?

Bangladesh: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে বাংলাদেশে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয় বলে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।

Bangladesh: আমেরিকার ভিসা নীতিতে চাপ বাড়ছে হাসিনা সরকারের! কেন খুশি বাংলাদেশের বিরোধীরা?
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 3:57 PM

ঢাকা : শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য নয়া ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সদ্য সেই নীতি ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ভিসার ক্ষেত্রে যে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছে আমেরিকা, তাতে হাসিনা সরকারের চাপ বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্তে খুশি বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলি। তবে এই ইস্যুতে চুপ রয়েছে নয়া দিল্লি।

ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচনে যে হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, তাঁকে ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের আমেরিকার তরফে ভিসা দেওয়া হবে না। নেতা হোক বা আমলা, প্রত্যেককেই এি নীতির আওতায় আনা হবে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে বাংলাদেশে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয় বলে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তাদের দাবি, হাসিনা সরকারকে কোনও ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনও চায় তারা। সব ঠিক থাকলে ২০২৪-এর জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে বাংলাদেশে। তার আগেই আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত।

সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। নির্বাচন নিরপেক্ষ হয় না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন হাসিনা। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা অবকাশ থাকবে না। তারপরও আমেরিকা এই ঘোষণা করায়, মনে করা হচ্ছে হাসিনার জবাবে তারা সন্তুষ্ট নয়।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণায় খুশির হাওয়া বাংলাদেশের বিরোধী মহলে। তাদের ভয় যে সত্যি, সেটাকেই আমেরিকা মান্যতা দিল বলে মনে করছে তারা। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি মনে করছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমর্থন থাকবে আমেরিকার।

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারত হাসিনাকেই আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায়। ফলে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।