করোনাকালে কোন কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা?
Bangladesh : ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ওমান সহ একাধিক দেশ বাংলাদেশের উপর থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে।
ঢাকা : করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। কিন্তু এখন লাগামছাড়া করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাংলাদেশে। অগস্টের শুরুর দিকে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। এখন তা কমে আড়াই হাজারের আশেপাশে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক দেশ বাংলাদেশের উপর ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশে এখন ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। রবিবার থেকেই ঢাকা – কলকাতা উড়ান পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি উড়ান সংস্থা বিমান এবং ইউএস-বাংলা আগামিকাল থেকে ভারত – বাংলাদেশ বিমান পরিষেবা চালু করছে। করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিবহন। কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে বিমান উড়ে যাচ্ছে ঢাকা থেকে।
এছাড়া তুরস্কও বাংলাদেশের সঙ্গে উড়ান পরিষেবা আবারও চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকায় তুরস্কের দূতাবাস। তবে এক্ষেত্রে উড়ানের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে, তবেই বিমানে উঠতে পারবেন যাত্রীরা।
এছাড়া তুরস্কে পৌঁছানোর পর ১৪ দিনে কোয়ারানটিনে থাকতে হবে। তবে যদি সংশ্লিষ্ট যাত্রীর কাছে তুরস্ক সরকার অনুমোদিত টিকার দুটি ডোজ়ই নেওয়া থাকে, তাহলে বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিনে থাকতে হবে না। এখনও পর্যন্ত যে টিকাগুলিকে তুরস্ক সরকার অনুমোদন দিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, সিনোভ্যাক, বায়োএনটেক, সিনোফার্মস মডার্না এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ় টিকাও রয়েছে তালিকায়।
আর যাদের এই টিকাগুলির দুটি ডোজ় দেওয়া নেই, তাঁদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারানটিন বাধ্যতামূলক। দশম দিনে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে, তবেই কোয়ারানটিন তোলা হবে।
অস্ট্রেলিয়াতেও জরুরি ভিত্তিতে যেতে পারবেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। তবে এক্ষেত্রেও করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। উড়ানের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় অবতরণের পর ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিনে থাকতে হবে প্রত্যেককে।
১ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে ওমানও। এক্ষেত্রে আট ঘণ্টার কম সময়ের উড়ান হলে ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। তার থেকে বেশি সময়ের উড়ান হলে ৯৬ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে করোনার দুটি ডোজ়ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রত্যেক বিমানযাত্রীর জন্য এবং দ্বিতীয় ডোজ়ের পর কমপক্ষে ১৪ দিন পর বিমান থাকতে হবে।
যাঁদের আরটিপিসিআর রিপোর্ট থাকবে না, তাঁরা ওমানে অবতরণের পর বাধ্যতামূলক কোয়ারানটিনে থাকতে হবে। যদি করোনা ধরা পড়ে, তাহলে ১০ দিন আইসোলেশন আবশ্যিক করা হয়েছে।
আবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে যেতে হলে বিমান ছাড়ার ৬ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। এক্ষেত্রে বিমানবন্দরেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। আরও পড়ুন : কাল থেকে ফের ঢাকা-কলকাতা উড়ান