Rohingya: বাংলাদেশ থেকে ফিরে যাবে রোহিঙ্গারা? পরিস্থিতি দেখতে মায়ানমারে প্রতিনিধিদল
Representative Team: রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি ভিটেমাটি ছেড়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে সার্বিক পরিস্থিতি কতটুকু রয়েছে তা পর্যালোচনা করে দেখবে। বাংলাদেশে শরনার্থী হিসেবে আশ্রিত মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন কাজের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি রাখাইনে গেল।
ঢাকা: সামরিক বাহিনীর অত্যাচার ও জাতিগত দাঙ্গা থেকে বাঁচতে মায়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমরা পালিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশে। সেখানেই শরণার্থী হিসাবে গত কয়েক বছর রয়েছেন তাঁরা। ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফেরাতে দীর্ঘ দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দরবারও কম হয়নি। কিন্তু কোনও কিছুতেই কোনও লাভ হয়নি। এ বার সেই অবস্থার পরিবর্তন হতে চলেছে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি দল প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ খতিয়ে দেখতে মায়ানমারে যাচ্ছেন। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডুতে যাবে ওই প্রতিনিধি দল। সেই দলে রয়েছেন ২০ জন রোহিঙ্গা-সহ মোট ২৭ জন। শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রতিনিধি দলটি টেকনাফ বন্দরে আসেন। এর আধা ঘণ্টা পর দলটি নৌপথে মায়ানমারের রাখাইনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি ভিটেমাটি ছেড়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে সার্বিক পরিস্থিতি কতটুকু রয়েছে তা পর্যালোচনা করে দেখবে। বাংলাদেশে শরনার্থী হিসেবে আশ্রিত মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন কাজের অংশ হিসেবে প্রতিনিধি দলটি রাখাইনে গেল। রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই করতে গত ১৫ মার্চ টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে আসেন মায়ানমার সরকারের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি টানা সাত দিন কক্সবাজারের টেকনাফে একটি রেস্টহাউসে ছিলেন। তাঁরা এ সময় বাংলাদেশে প্রায় ১৫০ রোহিঙ্গা পরিবারের মোট ৪৮৬ সদস্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। ২২ মার্চ মায়ানমারের ওই প্রতিনিধি দল নাফ নদী দিয়ে ফিরে যায়। সে সময় মায়ানমারের প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, যাদের প্রত্যাবর্তন করা হবে সেই সব রোহিঙ্গা যাতে প্রত্যাবর্তনের আগে রাখাইনের সার্বিক পরিবেশ স্বচক্ষে দেখে আসতে পারে, তার ব্যবস্থা করার জন্য। এরই অংশ হিসেবে এ বার রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলটি মায়ানমারে গেল।
উল্লেখ্য বিভিন্ন সময় মায়ানমারে জাতিগত দাঙ্গা ও সামরিক বাহিনী হত্যাযজ্ঞের কারণে সে দেশ ছাড়েন রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে ২০১৭ সালে। সে সময় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জীবন বাচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন।