Bangladesh: ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটাই মুছে ফেলতে হবে: বাংলাদেশি মন্ত্রী
Bangladeshi minority: বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল), বাংলাদেশ থেকে 'সংখ্যালঘু' শব্দটাই মুছে ফেলার আহ্বান জানালেন সেই দেশের ধর্ম মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
ঢাকা: ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটাই বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলার আহ্বান জানালেন সেই দেশের ধর্ম মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল), গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তধর্মীয় সংলাপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফরিদুল হক খান বলেন, “অনেকে নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন। এ শব্দটা মুছে ফেলতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন কিন্তু হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই রক্তের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাঙালি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ভিতরে ভেদাভেদের কোনও প্রশ্ন আসতে পারে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাঙালি হিসেবে থাকতে চাই।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্রও তুলে ধরেন ফরিদুল হক খান। তিনি জানান, বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তিনি জানান, অনেক বাংলাদেশিই মনে করেন বাংলাদেশের পক্ষে আমেরিকা, রাশিয়ার বা সুইজারল্যান্ডের মতো উন্নত দেশ হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, বাংলাদেশি মন্ত্রীর মতে, এই স্বপ্ন সফল করা অসম্ভব নয়।
তিনি বলেন, “আমাদের ১০টি মেগা প্রকল্প আছে। আজ শুধুমাত্র পদ্মা সেতু থেকে আমাদের প্রতিদিন ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়। এই হিসেবে বছরে যা আয় দাঁড়ায়, একসময় আমাদের দেশের বাজেটও এত বেশি মূল্যের ছিল না। এরপর চালু হয়েছে মেট্রোরেল। এখান থেকে যা আয় হবে তাতে জিডিপি ২ ভাগ বেড়ে যাবে। এছাড়া আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল। আরও সাতটি মেগা প্রকল্পের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলে, জিডিপির হার বেড়ে বর্তমানের থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে।”
বাংলাদেশি মন্ত্রীর মতে, দেশের এই অগ্রগতি সহ্য করতে না পেরেই একশ্রেণির মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।”