Padma Setu Inauguration: হাসিনার হাতে বাংলাদেশের গর্ব ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন, কী কী বিশেষত্ব এই ব্রিজের?
Padma Bridge: বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ করতে মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সেতুটি তৈরি করতে মোট ১১ বছর সময় লেগেছে।
ঢাকা: শনিবার বাংলাদেশ এক অনন্য ইতিহাসের সাক্ষী ছিল। ১১ বছর ধরে তিল তিল করে তৈরি হওয়া ‘পদ্মা সেতু’-র উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু মুজিব কন্যা বলেন, ” অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে এবং ষড়ষন্ত্রকে পরাস্ত করে পদ্মা নদীর বুকে আজ এই সেতু দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। পদ্মা সেতু সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের, এর সঙ্গে আমাদের জেদ, আবেগ, ভালবাসা জড়িয়ে রয়েছে।” বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ করতে মোট ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সেতুটি তৈরি করতে মোট ১১ বছর সময় লেগেছে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল এই সেতু স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই সেতুর একতলায় চার লাইনের সড়কপথ ধরে চলবে বাস, গাড়ি সহ আরও যান। অন্যতলায় চলবে ট্রেন। সেতু চালু হওয়ার পর সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এই সেতু উদ্বোধনের ফলে কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিলোমিটার কমবে।
এই সেতুতে আর কী কী থাকছে?
পুলিশ স্টেশন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মসজিদ, জলের ট্যাঙ্ক, বিদ্যুতের সাব স্টেশন, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার যাবতীয় বন্দোবস্ত এখানে করা হয়েছে।
সেতুর সাতকাহন
- ১৯৯৯: নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকারের
- ২০০৫: জাপানি সংস্থা জাইকার সহায়তায় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
- ২০০৯: পদ্মা সেতুর নকশা তৈরির কাজ শুরু
- ২০১৫: নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা
- ২০১৭: ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিজের প্রথম স্প্যান বসানো হয়
- ২০২০: ব্রিজের শেষ স্প্যান বসানো হয়
- ২০২২: ২৫ জুন সেতুর উদ্বোধন, ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে খোলা হবে পদ্মা সেতু