China Plane Crash: জোর করে ককপিটে ঢুকে পড়েছিল অন্য কেউ? ‘ব্ল্যাক বক্স’ই সামনে আনল ভয়ঙ্কর তথ্য
China Plane Crash: চিনের ইয়ুনান প্রদেশের কুনমিং থেকে গুয়াংঝাউ প্রদেশে যাওয়ার পথেই গুয়াংশি অঞ্চলের উজ়ুও শহরের বাইরে গভীর জঙ্গলে ভেঙে পড়ে।
ওয়াশিংটন: কোনও দুর্ঘটনা নয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই কি ‘ক্র্যাশ’ করানো হয়েছিল চিনা বিমান? দুর্ঘটনার মাস খানেক বাদে এমনই চাঞ্চল্য়কর তথ্য উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে। চলতি বছরের ২১ মার্চ মাঝ আকাশ থেকে আচমকাই নীচে আছড়ে পড়েছিল চিনের একটি যাত্রীবাহী বিমান। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় রক্ষা পাননি কোনও যাত্রীই, মৃত্যু হয় ১৩২ জনের। গভীর জঙ্গলে প্রায় সপ্তাহ খানেক খোঁজ চালানোর পর উদ্ধার করা হয় বিমানের ব্ল্যাক বক্স। আর এই ব্ল্যাক বক্সই প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার মার্কিন আধিকারিকদের তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই জানানো হয় যে, মার্চ মাসে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বিমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে মাটির দিকে নাক বরাবর নামিয়ে আনা হয়েছিল, যে কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চিনের ইয়ুনান প্রদেশের কুনমিং থেকে গুয়াংঝাউ প্রদেশে যাওয়ার পথেই গুয়াংশি অঞ্চলের উজ়ুও শহরের বাইরে গভীর জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। চলতি সপ্তাহেই দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, ব্ল্যাক বক্স থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কোনও দুর্ঘটনা বা নিয়ন্ত্রণহীনতা নয়, ককপিট থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটিকে প্রবল গতিতে মাটির দিকে নামিয়ে আনা হয়েছিল।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ককপিট থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই অনুযায়ীই বিমানটি কাজ করেছিল। গুয়াংঝাউ পৌঁছনোর এক ঘণ্টা আগে পূর্ব চিনের এমইউ৫৭৩৫ বিমানটি নাক বরাবর মাটির দিকে নেমে আসে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ও একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে বিমানটির ৯০ ডিগ্রি কোণে নেমে আসার প্রমাণ মিলেছে।”
বোয়িং ৭৩৭ বিমানটির ফ্লাইট ট্র্যাকিং পরিষেবা ‘ফ্লাইট ব়্যাডার’-র তথ্য অনুযায়ী মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ২৯ হাজার ফুট থেকে সরাসরি মাটিতে নেমে আসে। মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ার কয়েক মুহূর্ত আগে বিমানটি সমতল বরাবর ঘুরে গেলেও, ফের তার মুখ মাটির দিকে নেমে যায় এবং তা সজোরে মাটিতে আছড়ে পড়ে।
প্রাথমিক তদন্তের এই রিপোর্টের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত আরও এগোলে নতুন আরও তথ্য জানা যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরই চিন প্রশাসনের তরফে প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয় যে বিমানে বা কার্গোয় কোনও সমস্যা ছিল না। দুর্ঘটনার আগের মুহূর্ত অবধি কোনও সমস্যা ছিল না। ব্ল্যাক বক্স থেকে প্রাপ্ত ওই তথ্যের পর মনে করা হচ্ছে, বিমানের কেউ জোর করে ককপিটে ঢুকে পড়েছিল এবং ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটিকে ক্র্যাশ করানো হয়েছিল।