COVID-19 Lockdown in China: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! লকডাউনে বন্দি দেড় কোটিরও বেশি বাসিন্দা, বাকি বিশ্বেও বিপদ ডেকে আনবে চিন?

COVID-19 Lockdown in China: শহরের সমস্ত বাসিন্দারাই যেন বাড়ি থেকে কাজ করেন এবং অত্যাবশ্যকীয় কোনও পণ্য কেনার জন্যই বাড়ি থেকে বের হন। বাইরে থেকে যারা শেনজ়েনে আসছেন, তাদের সকলকেই নেগেটিভ নিউক্লেইক অ্যাসিড রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

COVID-19 Lockdown in China: ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! লকডাউনে বন্দি দেড় কোটিরও বেশি বাসিন্দা, বাকি বিশ্বেও বিপদ ডেকে আনবে চিন?
ফের লকডাউন চিনে। বাকি বিশ্বেও কি ছড়িয়ে পড়বে করোনা? ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2022 | 12:28 PM

বেজিং: দুই বছর পার হয়ে গিয়েছে, তবুও পিছু ছাড়ছে না করোনা (COVID-19)। তবে তুলনামূলকভাবে বিশ্বজুড়েই করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই কম। তবে স্বস্তি নেই চিন(China)-র বাসিন্দাদের। সেখানে ফের একবার করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই, প্রশাসনের তরফে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই চিনের চাংচুন শহরে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়েছিল। এবার লকডাউন ঘোষণা করা হল হাইটেক শহর শেনজ়েন(Shenzhen)-এও। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত দুই বছরে সবথেকে ভয়ঙ্করভাবে এবারই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ রুখতেই তাই একের পর এক শহরে লকডাউন জারি করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের উৎপত্তি হয়েছিল চিন থেকেই। তাই ভাইরাসের ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, তার আন্দাজ ভালভাবেই রয়েছে চিনের। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম মাস হিমশিম খেলেও, হাল সামলিয়ে নেয় প্রশাসন। এক সপ্তাহের মধ্যেই তৈরি করে দেওয়া হয় হাসপাতাল। সেই সময়ই তৈরি করা হয় “জিরো কোভিড নীতি”। শহরে ৫-১০ জন করোনা আক্রান্ত হলেও, গোটা শহরেই লকডাউন জারি করে দেওয়া হয়।

দেড় কোটিরও বেশি বাসিন্দার শেনজ়েন শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেখানে সমস্ত গ্রামের সীমানা আটকে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস, মেট্রো। রবিবারই চিনা ডেইলিতেই জানানো হয়েছে যে সোমবার থেকে সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষভাগ থেকেই ওই শহরে ওমিক্রনের দাপট দেখা দিয়েছিল। তবে এবার আচমকাই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরপর দুই দিন ধরেই ১ হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে স্থানীয় সংক্রমণের কারণ আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। বিগত দুই বছরে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।

প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শহরের সমস্ত বাসিন্দারাই যেন বাড়ি থেকে কাজ করেন এবং অত্যাবশ্যকীয় কোনও পণ্য কেনার জন্যই বাড়ি থেকে বের হন। বাইরে থেকে যারা শেনজ়েনে আসছেন, তাদের সকলকেই নেগেটিভ নিউক্লেইক অ্যাসিড রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার বেশি পুরনো হতে পারবে না। এছাড়া নতুন সপ্তাহেই শহরজুড়ে ফের তিন দফায় করোনা পরীক্ষা করানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির তরফে জানানো হয়েছে, উহান থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই হয়তো চিনে সবথেকে ভয়ঙ্কর করোনা সংক্রমণ হতে চলেছে। যেখানে গোটা বিশ্বজুড়েই করোনার দাপট কমছে, সেখানেই হঠাৎ করে চিনে করোনা সংক্রমণ বাড়ায়, উদ্বেগও বেড়েছে। কারণ, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সময়ও চিনেই প্রথম করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। যেই সময়ে চিন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনে, ততদিনে বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ।