China Police Station: বিভিন্ন দেশে পুলিশ স্টেশন খুলেছে চিন! চাঞ্চল্যকর তথ্যে তোলপাড় বিশ্ব

Police Station: তদন্তকারী সংবাদমাধ্যম রিপোর্টিকা জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিনের প্রতিপক্ষদের জন্য কানাডা জুড়ে পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর সঙ্গে যুক্ত এই ধরনের বেআইনি থানা তৈরি করেছে চিন।

China Police Station: বিভিন্ন দেশে পুলিশ স্টেশন খুলেছে চিন!  চাঞ্চল্যকর তথ্যে তোলপাড় বিশ্ব
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2022 | 6:14 PM

বেজিং: বিশ্বে ‘সুপার পাওয়ার’ হয়ে ওঠার চিনের বাসনার কথা কারও অজানা নয়। সেই আশা পূরণের লক্ষ্যে চিন এমন কাজ করেছে, যা সামনে আসার পর তাবড় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এবং ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলির চোখ কপালে উঠেছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেআইনি থানা খুলেছে চিন। কানাডা, আয়ারল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলিতে চিনা থানার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এই খবর সামনে আসার পর রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরাও।

তদন্তকারী সংবাদমাধ্যম রিপোর্টিকা জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিনের প্রতিপক্ষদের জন্য কানাডা জুড়ে পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর সঙ্গে যুক্ত এই ধরনের বেআইনি থানা তৈরি করেছে চিন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গোটা কানাডা জুড়ে পিএসবির অনুমোদন নিয়ে ফুঝো বেআইনি ভাবে পুলিশ সার্ভিস স্টেশন তৈরি করেছে। গ্রেটার টরন্টো এলাকায় কমপক্ষে এই ধরনের ৩টি পুলিশ স্টেশন রয়েছে। রিপোর্টিকা জানিয়েছে, এই ধরনের থানাগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে চিন। ফুঝো পুলিশ জানিয়েছে, ২১টি দেশে তারা এধরনের ৩০টি স্টেশন স্থাপন করেছে।

ইউক্রেন, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি এবং ব্রিটেনে চিনা পুলিশ স্টেশন তৈরির বন্দোবস্ত রয়েছে। উল্লেখিত দেশগুলির নেতারা বরাবরই চিনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে এবং সেদেশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। মানবাধিকার প্রচারকরা চিনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে অসংখ্যবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, নিরাপত্তার নামে চিনা নাগরিকদের বন্দি করে, পরিবারগুলিকে আলাদা করা এবং বলপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে সেদেশের সরকার।

চিনা সরকারের দাবি, তারা বিভিন্ন দেশে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছে এবং মৌলবাদ এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। চিনের দাবি, ২০১৯ সালে বেশিরভাগ প্রশিক্ষিতরা সেখান থেকে স্নাতক সেই কেন্দ্রগুলি থেকে স্নাতক হয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হিউম্যান রাইটস হাই কমিশনরা মিচে বেচলেট সম্প্রতি চিন ও জিংজিয়াং সফর করেছেন।