Cold Snap: আফগানিস্তানে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত্যু ১৬৬ জনের, প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও
গত ১০ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত প্রচন্ড ঠান্ডায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।
কাবুল: আফগানিস্তানে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আর এই শৈত্যপ্রবাহ ও ঠান্ডার দাপটে ইতিমধ্যে গোটা দেশে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এবারের ঠান্ডা সবচেয়ে ভয়াবহ বলে দাবি আফগানিস্তান আবহাওয়া দফতরের। আর এই অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতেও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ঘর গরম করার জ্বালানি জোগাড় করতেও অসমর্থ হয়ে পড়েছেন আফগানবাসী।
এক ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রচন্ড ঠান্ডায় আফগানিস্তানের জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের মুখপাত্র সফিউল্লাহ রোহিনী বলেন, গত ১০ জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত প্রচন্ড ঠান্ডায় ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। এছাড়া শতাধিক ঘর-বাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বে বাদাখশান প্রদেশের কেবল একটি গ্রামে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে চলতি সপ্তাহে। বর্তমানে দেশের গড় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে মাইনাস ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার সঙ্গে প্রচন্ড তুষারপাতের জেরে বিদ্যুৎ বিপর্যয় শুরু হয়েছে।
প্রচন্ড ঠান্ডার প্রভাব পড়েছে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতেও। এদিকে তালিবানীর নির্দেশের জেরে আফগানিস্তানের মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি কাজ করতে পারছে না। অনেক দেশীয় আন্তর্জাতিক সংস্থা তালিবানি প্রশাসনের কড়াকড়ির জেরে তাদের দাতব্য ও উন্নয়ন কাজ স্থগিত করে দিয়েছে। যার ফলে বর্তমানে চরম সংকটে পড়েছেন আফগানিস্তানের নাগরিকেরা। দেশের প্রায় ৩৮ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় অসহায় হয়ে পড়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪ মিলিয়ন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে বলে হু-র রিপোর্টে প্রকাশিত। সব মিলিয়ে চরম সংকটে আফগানিস্তান।