Earthquake: চিনে জোরাল ভূমিকম্প, মৃত শতাধিক, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ
Earthquake at China: গাংসু প্রদেশের রাজধানী লানঝাউয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং তারপর বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পে গাংসু-সহ কুইনঘাই প্রদেশের বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘর-বাড়ি চাপা পড়ে ঘুমের মধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
বেজিং: জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিন (China)। তারপর বেশ কয়েকটি আফটার শক হয়। সোমবার মধ্যরাতে চিনের উত্তর-পশ্চিমে গাংসু প্রদেশে এই ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতাধিক। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১০০ জন। গাংসুর পার্শ্ববর্কী কুইনঘাই প্রদেশেও এই ভূমিকম্পের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। সেখানে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুরুতর জখম হয়েছেন ১২৪ জন। বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে সূত্রে খবর, সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট নাগাদ জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চিনের গাংসু প্রদেশ। পার্শ্ববর্তী কুইংঘাই প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৯। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল গাংসু প্রদেশে ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.২।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গাংসু প্রদেশের রাজধানী লানঝাউয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং তারপর বেশ কয়েকটি আফটার শক অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পে গাংসু-সহ কুইনঘাই প্রদেশের বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘর-বাড়ি চাপা পড়ে ঘুমের মধ্যেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, কেবল কুইংঘাই প্রদেশের হাইদোং শহরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
জোরাল এই ভূমিকম্পের পরই গাংসু প্রদেশের তরফে ত্রাণ দেওয়া ও উদ্ধারকাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোর থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চিনে ভূমিকম্পের ঘটনা নতুন ব্যাপার নয়। গত অগাস্টেও পূর্ব চিনে জোরাল ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৪। ওই ভূমিকম্পে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তবে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটেছিল ২০০৮ সালে। সেবার ৭.৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে ৮৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং ৫ হাজারের বেশি স্কুল পড়ুয়া নিখোঁজ হয়ে যায়।