‘গার্ল ইউ আর…’, ট্রুডোর পুরুষত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ইলন মাস্ক?
Justin Trudeau-Elon Musk: প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়ানোর আগে পর্যন্ত কানাডা আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। এখনও সেই অবস্থানে অনড়। এদিকে ট্রুডো ইস্তফা দিতেই তাঁকে চরম কটাক্ষ করলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
ওয়াশিংটন: এখনও প্রেসিডেন্ট পদ গ্রহণ করেননি, তার আগেই তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শখ জেগেছে, কানাডাকে আমেরিকার অন্তর্গত করবেন। তাঁর এই প্রস্তাবেই শোরগোল বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে আবার চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। আর এই সুযোগ পেয়েই মোক্ষম আক্রমণ করলেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ বিলিওনিয়ার ইলন মাস্ক।
প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়ানোর আগে পর্যন্ত কানাডা আমেরিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। এখনও সেই অবস্থানে অনড়। এদিকে ট্রুডো ইস্তফা দিতেই তাঁকে চরম কটাক্ষ করলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রুডোকে উদ্দেশ্য করেই লিখলেন, “গার্ল, তুমি আর কানাডার গভর্নর নেই, তাই তুমি কী বললে তাতে যায় আসে না।”
ট্রুডো বলেছিলেন, “নরকেও কানাডার আমেরিকার অংশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই দেশের মানুষ ও কর্মীরাই বাণিজ্য়িক ও নিরাপত্তা খাতে সবথেকে বড় অংশীদার হওয়ায় উপকৃত হয়”। তারই পাল্টা জবাবে ট্রুডোকে এমন কটাক্ষ করলেন মাস্ক।
প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে জোর করে আমেরিকার অংশ বানাতে চেয়েছেন। সম্প্রতিই তিনি বলেন যে প্রয়োজনে অর্থনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম রাজ্য বানানো হবে। অনেক কানাডাবাসীই এটা চান।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে ঘিরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। ট্রুডো সহ কানাডার প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক নেতাই এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। যদিও ট্রাম্প বা ভোটে তাঁর অন্যতম সঙ্গী ইলন মাস্ক যে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ, তা কথাতেই স্পষ্ট।