তালিবানকে ‘ব্যান’ করল ফেসবুক, সুকৌশলে প্রসঙ্গ এড়াল টুইটার

যদিও ফেসবুকেরই অপর পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে তালিবানরা। হোয়াটসঅ্যাপের "এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন" ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েই আফগানিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে তালিবানিরা।

তালিবানকে 'ব্যান' করল ফেসবুক, সুকৌশলে প্রসঙ্গ এড়াল টুইটার
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 12:56 PM

ক্যালিফোর্নিয়া: ফেসবুকে (Facebook) জায়গা দেওয়া হবে না তালিবান(taliban)-কে। ফেসবুক থেকে তালিবান সংক্রান্ত অথবা তালিবানের স্তূতিমূলক সমস্ত পোস্ট সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল সংস্থা। আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পরই তালিবানের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন সোশ্য়াল মিডিয়া সংস্থা।

ফেসবুকে যে বিপজ্জনক সংগঠনের তালিকা রয়েছে, তাতে তালিবান গোষ্ঠীর নামও রয়েছে। সেই কারণেই এমন যে কোনও পোস্ট, যা তালিবানের হয়ে প্রচার করে বা তালিবানের সমর্থনে কথা বলে, সেই সমস্ত পোস্টকে ব্যান করতে চলেছে ফেসবুক। সোমবারই এ কথা জানিয়েছেন ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের প্রধান কর্তা অ্যাডাম মসেরি।

ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, “মার্কিন আইন অনুযায়ী তালিবানকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবেই চিহ্নিত করা হয় এবং সেই কারণেই আমরা বিপদজনক সংগঠন নীতি অনুযায়ী এই সংস্থাকে আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যান করছি। এর অর্থ হল তালিবান বা তাদের হয়ে যে অ্যাকাউন্টগুলি ব্য়বহার করা হত, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং তালিবানের সমর্থন, প্রশংসামূলক কোনও পোস্টও মুছে ফেলা হবে।”

যদিও ফেসবুকেরই অপর পরিষেবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে তালিবানরা। হোয়াটসঅ্যাপের “এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন” ব্যবস্থার সুযোগ নিয়েই আফগানিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে তালিবানিরা। ফেসবুকের তরফে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে যে, সংস্থা আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। যদি তালিবানের প্রচারমূলক বা সমর্থনকারী কোনও অ্যাকাউন্ট খুঁজে পায় হোয়াটসঅ্য়াপ, তবে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে এবং সেই অ্যাকাউন্টকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ দিকে, আফগানিস্তানের একের পর এক শহর দখল থেকে শুরু করে নিজেদের বিভিন্ন বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য  টুইটারকেই ব্যবহার করছেন তালিবানের মুখপাত্র। ফেসবুকের সিদ্ধান্তের পরই এই বিষয়ে টুইটারকে প্রশ্ন করা হলে সংস্থার তরফে সুকৌশলে তালিবান প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলা হয়, “টুইটারের নীতি অনুসরণ করেই চলা হচ্ছে। যে পোস্টগুলি নীতি বা আইনবিরুদ্ধ, তা মুছে ফেলা হচ্ছে।” যদিও টুইটারে নীতিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে টুইটার প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসবাদ বা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করা হয় না।

আফগানিস্তানে তালিবান শক্তির উত্থানের পরই নারী স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফের একবার আফগানিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের ভূস্বর্গ হয়ে উঠতে পারে, এই ভয়েও দেশ ছাড়ছেন বহু আফগানি। তালিবান সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে কোনও অশান্তি চান না তারা। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। দেশের নাগরিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

যদিও ফেসবুক, টুইটার সহ নানা সোশ্য়াল মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিয়ো সম্পূর্ণ ভিন্ন বার্তাই দিচ্ছে। কখনও দেখা যাচ্ছে বিমানবন্দরের পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করায় আফগান নাগরিককে গুলি করছে তালিবানরা, কোথাও আবার শহর জুড়ে সমস্ত দোকান থেকে মহিলাদের ছবিতে কালো রঙ করে দেওয়া হচ্ছে।  আরও পড়ুন: তালিবানের দখলে দেশ, বুরখায় মুখ ঢাকতে ব্যস্ত মহিলারা, ৩ দিনেই দাম বাড়ল ১০ গুণ!