Iran Prison Fire: আগুন, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল আকাশ, শোনা গেল গুলির শব্দও! ভয়ঙ্কর কাণ্ড ইরানের কুখ্যাত কারাগারে
Iran Prison Fire: শনিবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট হয় ইরানের এভিন কারাগারের। দেখা যায়, গলগল করে ধোঁয়া বের হচ্ছে কারাগারের ভিতর থেকে। আগুনের শিখাও দেখা যায়।
তেহরান: এমনিতেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। তারমধ্যেই ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে লাগল ভয়াবহ আগুন। শনিবার তেহরানের ওই কারাগার থেকে গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এর কিছউক্ষণ পরেই ফায়ার অ্যালার্ম ও গুলির শব্দও শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া এক ভিডিয়োতে কারাগার থেকে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, তেহরানের এই কারাগারে রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়। কারাগারের ভিতরে কী হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। ইরান প্রশাসনের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি এই বিষয়ে।
শনিবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট হয় ইরানের এভিন কারাগারের। দেখা যায়, গলগল করে ধোঁয়া বের হচ্ছে কারাগারের ভিতর থেকে। আগুনের শিখাও দেখা যায়। অপর একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ইরানের বিশেষ বাহিনী মোটরবাইকে চেপে কারাগারের উদ্দেশে যাচ্ছে।
Gunshots can be heard from Evin Prison and smoke can be seen.#MahsaAmini #IranRevolution#مهسا_امینیpic.twitter.com/ut5Ds0Oup9
— 1500tasvir_en (@1500tasvir_en) October 15, 2022
স্থানীয় সংবাদসংস্থা ইরনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ বছরের মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরেই এভিন কারাগারে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কারাগারের ভিতর থেকে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে বলে দাবি।
এভিন কারাগারের ঠিক উল্টোদিকে বসবাসকারী এক স্থানীয় বাসিন্দা টুইটে লেখেন,”আমি এভিন কারাগারের ঠিক উল্টোদিকে আটিসাজ় টাওয়ারে থাকি। আমি ওখানের (কারাগারের) এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বললাম। গুলির শব্দ ও খামিনির মৃত্যুকামনার স্লোগান শুনতে পেলাম। এভিনে মার্কিন নাগরিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক বন্দিরা আটক রয়েছেন। তাদের পরিবার আতঙ্কিত। কারাগারের দরজার বাইরে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। বিশাল সংখ্যক স্পেশাল ফোর্সও পাঠানো হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সও উপস্থিত রয়েছে।”
এদিকে, ইরানের আইন বিভাগের তরফে পরে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, আর্থিক তছরুপ ও চুরির অভিযোগে কারাগারে আটক কয়েকজন বন্দিদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জেরেই জেলের ওয়ার্কশপে আগুন লেগে যায়। ইরানের দমকল বাহিনীও জানায়, আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।