AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘আমায় মিস করছেন?’, আফগান পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেনকেই একহাত নিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেনা প্রত্য়াহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রিপাবলিকান সেনেট মিচ ম্যাককনেল বলেন, "বাইডেন বুঝেশুনেই বড়সড় বিপর্যয়ের অনুমতি দিয়েছে। তিনি চাইলেই এই বিপর্যয় এড়ানো যেত।"

'আমায় মিস করছেন?', আফগান পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেনকেই একহাত নিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 1:43 PM
Share

ওয়াশিংটন: যে কোনও দখল হতে পারে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (Kabul)। প্রায় গোটা দেশই যখন তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে, তখন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) কটাক্ষ করলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden)-কেই। একইসঙ্গে তিনি মার্কিনবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ” আমায় মিস করছেন আপনারা?”

৯/১১ হামলার পরই ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন ছিল আফগানিস্তানে। তবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিবানিদের সঙ্গে চুক্তি করে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। চলতি বছরের শুরুতেই সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ টালবাহানাতে তা পিছিয়ে যায়। নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন জো বাইডেন। তবে তিনিও ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তেই কার্যকর রেখে জানান সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণরূপে সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

এ দিকে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকেই পুরনো রূপ ধরেছে তালিবান। ধীরে ধীরে যে আগ্রাসন নীতি অনুসরণ করেছিল, তা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই দখল হয়ে গিয়েছে কান্দাহার, হেরাত, গজনির মতো শহর। যে কোনও সময়ে দখল হয়ে যেতে পারে কাবুলও।

বিগত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েনের জন্য আমেরিকার খরচ হয়েছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রাণ হারিয়েছেন ২৫০০-রও বেশি মার্কিন সেনা। সম্প্রতিই  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আফগান নেতাদের একজোট হতেই হবে। আফগান সেনার সংখ্যা তালিবানদের তুলনায় অনেক বেশি এবং তাদের নিজেদের জন্য ও দেশের জন্য লড়াই চালাতেই হবে।”

সেনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গেও তিনি জানিয়েছিলেন, এই সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। বিগত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েনের জন্য বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে, কয়েক হাজার সেনাও প্রাণ হারিয়েছেন। সেই কারণেই চুক্তি বজায় রেখেই সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে আমেরিকার তরফে আকাশপথে সহায়তা, খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা জারি রাখা হবে।

বাইডেনের দাবি, ২০০১ সালে আল কায়েদা হামলার পর সেই সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে দমনের যে লক্ষ্য স্থির করেছিল আমেরিকা, তা বহুদিন আগেই পূরণ হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি আফগান সেনাকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এ বার নিজেদের লড়াই তাদেরই লড়তে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেনা প্রত্য়াহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রিপাবলিকান সেনেট মিচ ম্যাককনেল বলেন, “বাইডেন বুঝেশুনেই বড়সড় বিপর্যয়ের অনুমতি দিয়েছে। তিনি চাইলেই এই বিপর্যয় এড়ানো যেত।” অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করেন এবং বাইডেনকে কটাক্ষ করে আমেরিকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “আমায় মিস করছেন?”

আমেরিকার তরফে ইতিমধ্যেই ৩ হাজার সৈন্য পাঠানো হয়েছে আটকে থাকা মার্কিন আধিকারিক ও নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য। কাবুল বিমানবন্দরের মাধ্যমে আকাশপথে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের। এ দিন সকালেই আফগানিস্তানের পূর্বে অবস্থিত  জালালাবাদ শহরের দখল নেয় তালিবান। মাজার-ই-শরিফ দখল করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জালালাবাদও চলে গিয়েছে তালিবানের দখলে।  আরও পড়ুন: আফগানের পথে ৫ হাজার মার্কিন সেনা, ‘বাধা দিলেই মিলবে জবাব’, তালিবানদের বার্তা বাইডেনের