Nirav Modi: শেষ আবেদনও খারিজ, নীরব মোদীকে ভারতে ফেরানোর রাস্তা পরিষ্কার

Fugitive Nirav Modi's extradition to India: বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) শেষ আইনি লড়াইয়েও হারল নীরব মোদী। ফলে ব্রিটেন থেকে তার ভারতে ফেরানোর রাস্তা একেবারে পরিষ্কার হয়ে গেল।

Nirav Modi: শেষ আবেদনও খারিজ, নীরব মোদীকে ভারতে ফেরানোর রাস্তা পরিষ্কার
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 5:34 PM

লন্ডন: খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচতে চেয়েছিল পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী নীরব মোদী। কিন্তু, বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) শেষ আইনি লড়াইয়েও হারল সে। ব্রিটেন থেকে তার ভারতে প্রত্যর্পণের রাস্তা একেবারে পরিষ্কার হয়ে গেল। আগেই তাকে ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল লন্ডন হাই কোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে ফের ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চেয়েছিল নীরব মোদী। কিন্তু, এদিন ব্রিটিশ বিচারপতি স্ট্রুয়ার্ট স্মিথ জানান, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি নীরব মোদীকে। তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, ভারতে ফেরা আটকানোর জন্য আর কোনও পথ খোলা রইল না নীরব মোদীর জন্য।

এর আগে, গত ৯ নভেম্বর নীরব মোদীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল লন্ডন হাইকোর্ট। তার ভারতে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লন্ডন হাইকোর্টে আবেদন করেছিল নীরব মোদী। ভারতের কারাগারে তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি করেছিল এই হীরে ব্যবসায়ী। লন্ডন হাইকোর্টকে সে জানিয়েছিল, ভারতের কারাগারে তার আত্মঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, লন্ডন হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, তার আত্মহত্যার সম্ভাবনা মোটেই গুরুতর নয়। কাজেই তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়াটা অন্যায্য হবে না। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পথ খোলা ছিল নীরব মোদীর সামনে। কিন্তু, এদিনের নির্দেশে সেই পথও বন্ধ হয়ে গেল।

ঠিক কবে তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এরপরও তার ভারতে ফেরা আটকানোর একটা ক্ষীণ আশা রয়েছে নীরব মোদীর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে ব্যর্থ হওয়ার পর, ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসে আবেদন করতে পারে সে। সেখানে ব্রিটিশ আদালতে ন্যায্য বিচার না পাওয়ার দাবি জানাতে পারে। সেই সঙ্গে তাকে অমানবিক অবস্থায় বন্দি রাখা হয়েছিল বলেও দাবি করতে পারে সে। ইউরোপিয়ান কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস-এর নীতি লঙ্ঘন করেছে লন্ডনের কারাগার, এই দাবিতেই পাল্টা আবেদন করতে পারে।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ভারত ছেড়ে পালিয়েছিল এই হিরে ব্যবসায়ী। তারপরই, তার জালিয়াতির খবর জানা গিয়েছিল। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩,০০০ কোটি টাকা জালিয়াতি মামলায় নীরব মোদীই প্রধান অভিযুক্ত। সেই জালিয়াতি, তহবিল তছরুপ, প্রমাণ লোপাট এবং সাক্ষীদের ভয় দেখানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে। সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট – দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাই আলাদাভাবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই নীরব মোদীর দেশে ও বিদেশে থাকা বেশ কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।