স্থায়ী ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোমে’র সুবিধা দিয়ে বেতনে কোপ বসাচ্ছে গুগল, অন্য সংস্থাও কি নেবে একই পথ?
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক গুগল কর্মী জানান, তিনি সিয়াটেল থেকে প্রতিদিন সিলিকন ভ্যালিতে যাতায়াত করতেন। স্থায়ীভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা নিলে তাঁর বেতন প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক: করোনা সংক্রমণের জেরে বদলে গিয়েছে গোটা কর্মপদ্ধতিই। অফিসে যাওয়ার বদলে ওয়ার্ক ফ্রম হোমই এখন নতুন সংস্কৃতি। এই পরিস্থিতিতেই বেতন ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল, এমনটাই সূত্রের খবর। যে সমস্ত কর্মীরা আজীবন বাড়ি থেকেই কাজ করতে চাইবেন, তাদের বেতন হ্রাস করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সিলিকন ভ্যালিতে আপাতত এই বিষয়ে গবেষণা চালানো হচ্ছে। তাদের এই গবেষণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাকি সংস্থাও একই পথ অনুসরণ করতে পারেন বলে আশঙ্কা। ফেসবুক ও টুইটার সংস্থার তরফেও যে সমস্ত কর্মীরা এমন অঞ্চলে বসবাস করেন, যেখানে খরচ কম, সেই সমস্ত কর্মীদের বেতন হ্রাস করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রেডিট ও জিলোউ সংস্থার তরফেও কর্মীর বসবাসের জায়গার উপর ভিত্তি করেই বেতন ক্রম সাজানো হয়েছে।
গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা অফিস থেকে অনেক দূরে থাকেন, তারা যদি আজীবন বাড়ি থেকেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, সেক্ষেত্রে বেতন হ্রাস করা হতে পারে, কারণ গুগল বরাবরই কর্মচারীরা কোথায় বসবাস করছেন, তার উপর ভিত্তি করে বেতন স্থির করে। প্রতিটি শহর বা জেলার ভিত্তিতে এই বেতন পরিবর্তিত হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক গুগল কর্মী জানান, তিনি সিয়াটেল থেকে প্রতিদিন সিলিকন ভ্যালিতে যাতায়াত করতেন। স্থায়ীভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা নিলে তাঁর বেতন প্রায় ১০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বাড়ি থেকে কাজ করতে সুবিধা হলেও হঠাৎ বেতন কমে যাওয়ায় তাঁকে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। সেই কারণেই সংক্রমণের ভয় এড়িয়েই অফিসে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
যদিও গুগল সংস্থার তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে কর্মীদের দাবি, বাড়ি থেকেও তারা একইরকমভাবে কাজ করেন, সুতরাং বেতন কমানোর প্রশ্নই ওঠে না। আরও পড়ুন: পরিস্থিতি ভালো নয়, বায়ুসেনা বিমানে আজই মাজার-ই-শরিফ থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয়দের