US Drone Strike: শুধু জ়ওয়াহিরি একা নয়, মার্কিন হামলায় অন্যান্য মৃতদের পরিচয় জানালের আফগান রাষ্ট্রদূত
Afghanistan: আফগান রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, সিরাজউদ্দিন সহ অন্যান্য হাক্কানি নেতারা কাবুলে নিজেদের বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয় ফেলে রেখে অন্যত্র চলে গিয়েছেন।
নয়া দিল্লি: চলতি মাসে ২ তারিখ কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা (Al-Qaeda) নেতা তথা মার্কিন মুলুকের ৯/১১-র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার অন্যতম মূলচক্রী আয়মান অল-জ়ওয়াহিরি (Ayman Al-Zawahiri) খতম করেছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। ড্রোন স্টাইকের মাধ্যমে আফগানিস্তানের (Afghanistan) কাবুলে তাঁকে নিকেশ করেছিল মার্কিন বায়ুসেনা। তাজিকিস্তানে কর্মরত আফগান দূত মহম্মদ জাহির আঘবার এবার মার্কিন ড্রোন হানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন ড্রোন হানায় শুধুমাত্র জ়ওয়াহিরিই নয় হাক্কানি পরিবারের সদস্যরাও মারা গিয়েছেন।
ইন্ডিয়া টুডেকে আঘবার বলেন, “কাবুল থেকে আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি, তা থেকে জানা গিয়েছে মার্কিন ড্রোন হানায় হাক্কানি পরিবারের সদস্যরাও মারা গিয়েছেন। যে বাড়িতে জ়ওয়াহিরি ছিলেন, সেই বাড়িটি আসলে হাক্কানি পরিবারের।” উল্লেখ্য, হাক্কানি গ্রুপ একটি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন। সোভিয়েতি বিরোধী যুদ্ধের সময় জালালউদ্দিন হাক্কানি এই সংগঠন তৈরি করেছিলেন। কাবুলে যে বহুতলে আল-কায়দা প্রধান জ়ওয়াহিরি লুকিয়ে ছিলেন, সেই বাড়ির আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
আফগান রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, সিরাজউদ্দিন সহ অন্যান্য হাক্কানি নেতারা কাবুলে নিজেদের বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয় ফেলে রেখে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তালিবান ক্ষমতাসীন দেশে বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও সক্রিয়। তিনি বলেন, “জ়ওয়াহিরির হত্যা আফগান নাগরিকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যে আন্তর্জাতিক মহলে আরও একবার প্রকাশিত হয়েছে যে তালিবান শাসনে কীভাবে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীরা প্রশয় পাচ্ছে।” আল-কায়দা নেতার হত্যার পিছনে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের কারণ পাকিস্তান তথ্য দিয়ে সাহায্য করে থাকলেও থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জ়ওয়াহিরির মৃত্যুর কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছিলেন, শেষমেশ ৯/১১ হামলার বিচার হয়েছে। এর আগেও ২০১১ সালে পাকিস্তানে অ্যাবোটাবাদে আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিল আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনী।