Bizarre: বিছানায় ‘শুয়েই’ হাতে এসেছে প্রায় ৬ কোটি টাকা! ১৩ বছরের ‘সুখ’ ভেস্তে দিল কুকুর
UK: ১৩ বছর ধরে এই কাজ চালালেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।
লন্ডন: দু-চার মাস নয়। বছরের পর বছর শুয়ে থাকতেন বিছানায়। তা করেই তিনি নিজেকে শয্যাশায়ী প্রমাণ করেছিলেন। শয্যাশায়ী সেজে চাইতেন স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ ভাবেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে সামাজিক প্রকল্পের টাকা নিয়েছেন। দীর্ঘ ১৩ বছর। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ৬ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি ইউরো নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ কোটি টাকা। এ রকম কাণ্ড সম্প্রতি ঘটেছে ব্রিটেনে। সেখানকার ৬৬ বছরের মহিলা ফ্রান্সিস নোবেল ঘটিয়েছেন এই কাণ্ড।
১৩ বছর ধরে টাকা হাতিয়ে বেশ আরামেই জীবন কাটিয়েছেন ওই মহিলা। নিজের মেয়ে, জামাইকে নিয়ে গোপনে ঘুরতে যেতেন আমেরিকা। সেখানে আমোদ-প্রমোদ করে ফিরেই শয্যাশায়ীর ভান করতেন। এ ভাবে ভালই চলছিল হঠাৎ তাল কাটল প্রতিবেশীর নজর। ফ্রান্সিসের প্রতিবেশী এক দিন ভোরে দেখেন পোষ্য কুকুরকে নিয়ে ঘুরছেন তিনি। সে খবর পৌঁছে যায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। এর পর প্রশাসনের আধিকারিকরা গোপনে নজরদারি চালাতে শুরু দেখেন। তাঁরা এক দিন দেখেন, হোম ডেলিভারিতে আসা মালপত্র বেশ সাবলীল ভাবেই খুলছেন ওই মহিলা। এ রকম প্রমাণ পেয়ে নিশ্চিত হয়ে যান, ওই মহিলা দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করছেন। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে হার্টফোর্ডশায়ার কাউন্সি কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের হয়। কিছু দিন পরই আদালতের নোটিস আসে তাঁর কাছে। তখন অবশ্য ছুটি কাটাতে জার্মানিতে চলে গিয়েছেন ফ্রান্সিস।
ফিরে অবশ্য তাঁকে আদালতের হাজির হতে হয়েছিল। আদালতে নিজের দোষও কবুল করেছেন তিনি। এই প্রতারণার জন্য তাঁকে ৪ বছর ৯ মাসের জেলের সাজা দিয়েছে সেখানকার আদালত। ঘটনা নিয়ে হার্টফোর্ডশায়ার কাউন্টি কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে, “ফ্রান্সিস তাঁর মেয়ে জামাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারণা করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে সামাজিক সুবিধা অন্যায় উপায়ে ভোগ করেছেন। এরকম প্রতারণার ঘটনা বেশ বিরল।”