Elon Musk: ‘ডেমোক্র্যাটদের আর সমর্থন নয়, রিপাবলিকানদেরই ভোট দেব’, স্পষ্ট জানালে ইলন মাস্ক

Us President Election: টুইটার ক্রয় নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইলন। ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টুইটার ক্রয়ের চুক্তি ঠিক হয়ে গেলেও এই ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য সাময়িকভাবে পিছিয়ে দিয়েছেন মাস্ক।

Elon Musk: 'ডেমোক্র্যাটদের আর সমর্থন নয়, রিপাবলিকানদেরই ভোট দেব', স্পষ্ট জানালে ইলন মাস্ক
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 2:59 PM

ওয়াশিংটন: তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাই তাঁকে ঘিরে আট থেকে আশির আগ্রহের শেষ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি টুইটের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। ই-ভেহিকল নির্মাতা সংস্থা টেসলার (Tesla) কর্ণধার ইলন মাস্কের (Elon Musk) টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট মানেই রাতারাতি ভাইরাল, রাতারাতি লাইক কমেন্টের বন্যা। এহেন স্পেস এক্স (SpaceX) কর্তার বুধবার করা আরও একটি টুইট সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। কোনও রাখঢাক না করেই টেসলাকর্তা টুইটে জানিয়েছেন, অতীতে তিনি ডেমোক্র্যাট পার্টিকে (Democrat) ভোট দিয়েছেন, কিন্তু এরপর থেকে তিনি আর ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেবেন না। ইলনের ভোট এবার থেকে রিপাবলিকান পার্টির (Republican) দিকেই যাবে। টুইটে মাস্ক লিখেছেন, “অতীতে আমি ডেমোক্র্যাট পার্টিকে ভোট দিয়েছি কারণ তাদের মনে মানুষের প্রতি ভালবাসা ছিল। কিন্তু এখন তারা বিভাজন ও বিদ্বেষের দলে পরিণত হয়েছে, সেই কারণে তাদের আর সমর্থন করা যাবে না। এবার থেকে আমি রিপাবলিকান পার্টিকে ভোট দেব। এবার আপনারা দেখবেন কী ভাবে আমার বিরুদ্ধে নোংরা প্রচার চালানো হবে।” আরও একটি টুইটে মাস্ক বলেন, “আগামী কয়েকমাসে আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ নাটকীয়ভাবে বাড়বে।”

৫০ বছর বয়সী টেসলা কর্ণধার বেশ কয়েকদিন ধরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন প্রশাসনের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। পাশাপাশি মাস্কের মুখে ডেমোক্র্যাট পার্টির কর নীতির সমালোচনাও শোনা গিয়েছে। টুইটে তিনি বলেন, “আমি মধ্যপন্থী, ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান নই। অতীতে অনেকবার আমি অভিভূত হয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টিকে ভোট দিয়েছি। আমি কোনও দিন রিপাবলিকান পার্টিকে ভোট দিইনি। তবে আগামী নির্বাচনে আমার ভোট রিপাবলিকান পার্টির দিকেই যাবে।”

টুইটার ক্রয় নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইলন। ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টুইটার ক্রয়ের চুক্তি ঠিক হয়ে গেলেও এই ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য সাময়িকভাবে পিছিয়ে দিয়েছেন মাস্ক। বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেছিল টুইটার। টুইটার অধিগ্রহণের আগেই ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছিলেন মাস্ক। অনেকেই মাস্কের এই টুইটগুলি থেকে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছেন। তাদের মতে আগামী দিনে হয়তো মাস্ককে রাজনীতির মঞ্চেও দেখা যেতে পারে।