Economic Corridor: মধ্যপ্রাচ্যের মাধ্যমে ভারত ও ইউরোপকে জুড়বে নতুন করিডর, খুলবে বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত

এই অর্থনৈতিক করিডর গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত, জার্মানি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই করিডর গড়তে আমেরিকার উদ্যোগ ছিল চোখে পড়ার মতো।

Economic Corridor: মধ্যপ্রাচ্যের মাধ্যমে ভারত ও ইউরোপকে জুড়বে নতুন করিডর, খুলবে বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত
ভারত-মধ্য প্রাচ্য-ইউরোপের অর্থনৈতিক করিডরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2023 | 7:42 AM

নয়াদিল্লি: ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপে আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির লক্ষ্যে করিডর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমন আল সাউদ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনকে পাশে বসিয়ে এই করিডরের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রাচ্যের মাধ্যমে ভারত ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগেই এই রেল-পোর্ট করিডর তৈরি করা হয়েছে। রেলপথ এবং জলপথ থাকবে এই করিডরে। ভারত থেকে জলপথে সংযোগ স্থাপন হবে মধ্য প্রাচ্যের। এর পর মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। ইজরায়েল থেকে ফের জলপথের মাধ্যমে তা ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত হবে। এই অর্থনৈতিক করিডর গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত, জার্মানি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই করিডর গড়তে আমেরিকার উদ্যোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকই মনে করছেন, চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের পাল্টা হিসাবেই এই আর্থিক করিডর তৈরি করা হচ্ছে। যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে ভারতের।

ইউরোপ, মধ্য প্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে পণ্য আদানপ্রদান মসৃণ করা এবং অর্থনীতিতে গতি আনতেই এই উদ্যোগ। জ্বালানি তেল থেকে গ্যাস, তথ্য থেকে পণ্য সবকিছুর পরিবহণ আরও সহজ হবে এই করিডর তৈরি হলে। তবে এই করিডর তৈরির জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে এ বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি।

কোন কোন দেশের মধ্যে দিয়ে যাবে এই করিডর?

মধ্যপ্রাচ্যের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে ইউরোপের যোগাযোগ গড়ে তুলবে এই করিডর। ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট- ইউরোপ ইকোনমিক করিডর ভারতের মুম্বই থেকে শুরু হবে। সেখান থেকে সৌদির আরব, আবর সংযুক্ত আমিরশাহী, জর্ডন হয়ে ইজরায়েলে পৌঁছবে। ইজরায়েল থেকে জলপথের মাধ্যমে তা ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত হবে। মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলির মধ্যে গড়ে তোলা হবে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। মুম্বইয়ের সঙ্গে দুবাইয়ের যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। অন্যদিকে ইজরায়েলের হাইফা বন্দর থেকে গ্রিসের পিরায়েস বন্দর পর্যন্ত যোগযোগ গড়ে তোলা হবে। এর জেরে সুয়েড ক্যানেলের ভিড় এড়ানো অনেকটাই সম্ভব হবে।

এই করিডর নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, এই করিডর গড়ে উঠলে ইউরোপের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগের নতুন পথ গড়ে উঠবে। আর্থিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে তা উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে বলেও আশাবাদী বিশেষজ্ঞ থেকে কূটনীতিকরা।