ওয়ারশ থেকে ফের কিয়েভে ফিরছে ভারতীয় দূতাবাস! যুদ্ধ কি তবে শেষ?

নয়া দিল্লি: ফের কিয়েভে খুলতে চলেছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর, প্রথমে ভারতীয় দূতাবাসের কাজকর্ম কিয়েভ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লভিভে। সেখান থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া, সকল ভারতীয় নাগরিকদের সেই দেশ থেকে নিরাপদে বের করে নেওয়ার জন্য অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় দূতাবাস। তারপর ১৩ মার্চ ইউক্রেনের […]

ওয়ারশ থেকে ফের কিয়েভে ফিরছে ভারতীয় দূতাবাস! যুদ্ধ কি তবে শেষ?
ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই বন্ধ রয়েছে কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 9:29 PM

নয়া দিল্লি: ফের কিয়েভে খুলতে চলেছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর, প্রথমে ভারতীয় দূতাবাসের কাজকর্ম কিয়েভ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লভিভে। সেখান থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া, সকল ভারতীয় নাগরিকদের সেই দেশ থেকে নিরাপদে বের করে নেওয়ার জন্য অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় দূতাবাস। তারপর ১৩ মার্চ ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ-তে। এতদিন সেখান থেকেই চালানো হয়েছে দূতাবাসের কাজ। এদিন ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ মে তারিখে ফের কিয়েভ থেকে কাজ করা শুরু করবে ভারতীয় দূতাবাস।

সম্প্রতি যুদ্ধের তীব্রতা কিছুটা কমায়, বেশ কয়েকটি দেশই ফের কিয়েভ থেকে কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা শুরু করেছে। এপ্রিল মাসের শেষ থেকেই ধীরে ধীরে কিয়েভে ফিরে এসেছে একের পর এক দেশের দূতাবাস। প্রথমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর দূতাবাস খোলা হয়েছিল। গত ২৯ এপ্রিল কিয়েভে ফিরে আসে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাসও। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ টি দেশের দূতাবাস ফিরেছে কিয়েভে। মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেনের রাজধানী শহরে আর রুশ আক্রমণ হবে না। জো বাইডেন প্রশাসনও কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস ফের চালু করতে চাইছে। এদিন ভারতও সেই পথে হাঁটল।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারতীয় দূতাবাস। শুধু ভারতীয় নাগরিকদরই নয়, দূতাবাসের পক্ষ থেকে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদেরও ইউক্রেন থেকে বের করে এনেছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর দু’দিন পর, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিয়ে আসার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন গঙ্গা’। বেশ কয়েকজন বিদেশী নাগরিক ছাড়াও, ২০,০০০-এরও বেশি ভারতীয় নাগরিককে ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।

দূতাবাসগুলি ফের খোলার পাশাপাশি ইউক্রেনে এখন চলছে রুশ যুদ্ধপরাধের তদন্তও। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-সহ বেশ কয়েকজন পশ্চিমী রাষ্ট্রনেতা ইরপিন-সহ কিয়েভের আশেপাশের আবাসিক এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। এইসব এলাকায় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শয়ে শয়ে অসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, এদিনই ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রথম যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিচার হবে এক ২১ বছর বয়সী রুশ সেনা সদস্যের। তার বিরুদ্ধে এক ষাটোর্ধ্ব নিরস্ত্র অসামরিক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে যুদ্ধের আঁচ যে এখন অনেকটাই কমেছে, তা স্পষ্ট।