Math Nobel Prize: কলকাতায় প্রকাশিত গবেষণা, ‘গণিতের নোবেল’ জয় শতায়ু ভারতীয় পরিসংখ্যানবিদের
Math Nobel Prize 2023: ২০২৩ সালের 'আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার' বা 'গণিতের নোবেল' পাচ্ছেন প্রখ্যাত ভারতীয়-মার্কিন গণিতবিদ তথা পরিসংখ্যানবিদ ক্যালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও।
ওয়াশিংটন: ২০২৩ সালের ‘আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার’ বা ‘গণিতের নোবেল’ পাচ্ছেন প্রখ্যাত ভারতীয়-মার্কিন গণিতবিদ তথা পরিসংখ্যানবিদ ক্যালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। চিকিৎসা গবেষণা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান এবং তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এই ১০২ বছর বয়সী পরিসংখ্যানবিদ। আগামী জুলাই মাসে কানাডার অন্টারিওতে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট আয়োজিত বিশ্ব পরিসংখ্যান কংগ্রেসে সিআর রাওয়ের হাতে এই ৮০,০০০ ডলারের পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গাই নেসন বলেছেন, “এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে, আমরা সিআর রাও-এর স্মরণীয় কাজগুলি উদযাপন করছি। এই কাজগুলি শুধুমাত্র তার সময়ে পরিসংখ্যানগত ভাবনার বৈপ্লবিক পরিবর্তনই করেনি, বরং বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের ভাবনা-চিন্তার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।”
সিআর রাওয়ের শিক্ষাজীবন
কর্ণাটকের হাড়াগালিতে এক তেলেগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সিআর রাও। অন্ধ্রপ্রদেশে স্কুল শিক্ষা শেষ করে, কলকাতায় চলে এসেছিলেন উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৪৩ সালে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে এমএ এবং অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে এমএসসি ডজিগ্রি অর্জন করেছিলেন। এরপর, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে, তিনি কেমব্রিজ থেকেই ডিএসসি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন এই প্রখ্যাত গণিতবিদ।
কলকাতা যোগ
তাঁর গণিতের নোবেল পুরস্কার জয়ের পিছনে কলকাতারও ভূমিকা রয়েছে। তাঁর যে তিনটি মৌলিক গবেষণার ফল পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে আধুনিকতার পথ প্রশস্ত করেছিল, সেই তিনটি গবেষণাই প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালের ‘ক্যালকাটা ম্যাথমেটিকাল সোসাইটি’র বুলেটিনে। প্রথমটি হল ‘ক্রেমার-রাও লোয়ার বাউন্ড’। যে কোনও ক্ষেত্রে অনুমান কতটা সঠিক হচ্ছে, তা নির্ধারণ করা হয় এই তত্বের সাহায্য়ে। দ্বিতীয়টি হল ‘রাও-ব্ল্যাকওয়েল থিওরেম’। যা কোনও অনুমানকে আদর্শের অনুমানে উন্নিত করতে পারে। তৃতীয়টি পরিচিত ‘তথ্য জ্যামিতি’ নামে। সম্প্রতি লার্জ হেড্রন কোলাইডারেও হিগস বোসন পর্যবেক্ষণ ব্যাখ্যা করতে এবং অপ্টিমাইজ করতে তথ্য জ্যামিতি ব্যবহার করা হয়েছে।
পেয়েছেন বহু পুরস্কার ও সম্মান
কর্মজীবনে এই গণিতবিদ, ভারতীয় স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, জওহরলাল নেহরু অধ্যাপক এবং ভারতের জাতীয় অধ্যাপক, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর মাল্টিভ্যারিয়েট অ্যানালিসিসের এবারলি প্রফেসর, চেয়ার অব স্ট্যাটিস্টিক্স এবং ডিরেক্টর-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক এবং পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসর এমিরিটাস। তাঁর কাজের জন্য বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানও পেয়েছেন সিআর রাও। তাঁকে ১৯৬৮ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০১ সালে পদ্মবিভূষণ উপাধি দিয়েছিল ভারত সরকার।