Gaza: যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা থেকে অবশেষে উদ্ধার কাশ্মীরি মা ও মেয়ে

Kashmiri Woman Evacuated from Gaza: সংবাদ সংস্থা পিটিআই এবং তিন ভারতীয় দূতাবাস করল সাহায্য। একমাস আটকে থাকার পর অবশেষে গাজা ভূখণ্ড থেকে বের হতে পারলেন কাশ্মীরি মহিলা লুবনা নাজির শাবু ও তাঁর মেয়ে করিমা। সোমবার সন্ধ্যাতেই তাঁরা রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করেন। এদিন পৌঁছেছেন কায়রোতে।

Gaza: যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা থেকে অবশেষে উদ্ধার কাশ্মীরি মা ও মেয়ে
এক মাসের উপর গাজায় আটকে ছিলেন লুবনা নাজির শাবু ও তাঁর মেয়ে করিমা Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2023 | 7:01 PM

গাজা সিটি/কায়রো: ইজরায়েল থেকে ভারতীয় নাগরিকদের আগেই নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়েছিল ভারত সরকার। এবার, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ড থেকেও একজন ভারতীয় মহিলা ও তাঁর মেয়েকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে এল ভারত সরকার। কাশ্মীরের বাসিন্দা লুবনা নাজির শাবু ও তাঁর মেয়ে করিমা সোমবার সন্ধ্যায় গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করেছেন বলে জানা গিয়েছে। গাজা ভূখণ্ড থেকে বাইরে আসার একমাত্র পথ হল এই রাফাহ ক্রসিং। বাকি দুই ক্রসিং বন্ধ করে রাখে ইজরায়েল। গত কয়েক সপ্তাহে এই রাফাহ সীমান্ত দিয়েই বিক্ষিপ্তভাবে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে মিশর। ওই একই রাস্তা দিয়ে বিদেশী নাগরিক এবং আহত প্যালেস্তিনীয় নগরিকদের মিশরে আসতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, ভারতীয় দূতাবাসের সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে তাঁরা নিরাপদে মিশরের রাজধানী কায়রোতে পৌঁছেছেন।

৭ অক্টোবর, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পরপরই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, দুইজন ভারতীয় নাগরিক আটকে আছেন গাজা ভূখণ্ডে। ১০ অক্টোবর, গাজার পরিস্থিতি জানিয়ে এবং তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন লুবনার স্বামী নেদাল তোমান। এদিন তিনি পিটিআই-কে জানিয়েছেন, সোমবার রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করে লুবনা ও করিমা মিশরের সীমান্তবর্তি শহর, আল-আরিশে ছিলেন। এদিন সকালে সেখান থেকে কায়রোতে চলে গিয়েছেন। সহায়তার জন্য রামাল্লা, তেল আবিব এবং কায়রোর ভারতীয় দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন লুবনা।

সপ্তাহখানেক আগে, গাজায় ইজরায়েল স্থলপথে আক্রমণ শুরু করার পর, উত্তর গাজা থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে এসেছিলেন লুবনা। তার আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ক্রমাগত বোমা বর্ষণ হচ্ছে গাজায়। বিস্ফোরণের আওয়াজে তাঁদের পুরো বাড়ি কেঁপে কেঁপে উঠছিল। পরিস্থিতি অত্যন্ত ‘ভীতিকর’ বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, ৯ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে সরকারিভাবে জল সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। তার আগে থেকেই চলে গিয়েছিল বিদ্যুৎ সংযোগ। এই কারণেই তাঁরা দক্ষিণ গাজায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এর আগে এই রকম পরিস্থিতি তিনি দেখেননি। তিনি বলেছিলেন, “আমরা কোথাও যেতে পারছি না। কারণ আমাদের জন্য কোনও নিরাপদ জায়গা নেই। গাজা ভূখণ্ড খুব ছোট একটা জায়গায চারদিক দিয়ে বন্দি আমরা। পালানোর কোনও জায়গা নেই।” পিটিআই-কে তিনি জানিয়েছিলেন, রামাল্লায় ভারতীয় দূতাবাসের কাছে তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চেয়েছেন।