Fertility: উপবাস সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলে, গবেষণায় নয়া তথ্য
মাঝে-মধ্যে উপবাস করতে থাকলে ডিম্বাণুর উপর যেমন প্রভাব পড়ে, তেমনই শুক্রাণুর গুণগত মানের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
লন্ডন: মাঝে-মধ্যে উপবাস (Fasting) শরীরের জন্য উপকারী। এমনই ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেকের মনে। কিন্তু এই উপবাস সন্তান উৎপাদনের (Fertility) ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে (Study Report) এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কেবল মহিলা নয়, পুরুষদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বিশেষ প্রভাব ফেলে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমির শাহির ইস্ট আঞ্জলিয়া ইউনিভার্সিটি ও ব্রিটেনের গবেষক দলের নেতৃত্বে যৌথভাবে উপবাস থাকার উপকারিতা, অপকারিতা নিয়ে এক গবেষণা করে। রয়্যাল সোসাইটির একটি জার্নালে গবেষণা রিপোর্টটি প্রকাশিত হয় এবং সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সারাদিনে মাঝে-মধ্যে উপবাস করতে থাকলে ডিম্বাণুর উপর যেমন প্রভাব পড়ে, তেমনই শুক্রাণুর গুণগত মানের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মাছেদের উপর গবেষণা করেই এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। মাছের উপর গবেষণাটি করা হলেও মানুষের ক্ষেত্রেও সন্তান উৎপাদনে উপবাস বিশেষ প্রভাব ফেলে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে ফিটনেস গড়ে তুলতে এবং ওজন কমাতে উপবাস জনপ্রিয় ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। কিন্তু, এটি যে কেবল ওজন কমাতে এবং ফিটনেস গড়ে তুলতে সাহায্য করে না, সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব ফেলে, সে ব্যাপারে অনেকেই জানেন না। UEA এর স্কুল অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক আলেক্সি মাকলাকভ সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্টে জানান, খাদ্যের ঘাটতিতে জীব যেভাবে সাড়া দেয় তা ডিম এবং শুক্রাণুর গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এই ধরনের প্রভাব উপবাসের সময় শেষ হওয়ার পরেও অব্যাহত থাকতে পারে। মাঝে-মধ্যে উপবাস কী ভাবে পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদনে ও মহিলাদের ডিম্বাণু উৎপাদনে প্রভাব ফেলে, তাও গবেষণা রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। তবে উপবাসের পর কীভাবে আবার শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গুণমান ফিরিয়ে আনা যেতে পারে, সে ব্যাপারে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলেও জানান অধ্যাপক আলেক্সি মাকলাকভ।