হিজাব না পরা ভিডিয়ো ভাইরাল, ৬ টি গুলি খেয়ে মৃত্যু যুবতীর

Iran Hijab Row : মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে জ্বলছে ইরান। সেখানে প্রতিবাদে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক সাধারণ নাগরিকের।

হিজাব না পরা ভিডিয়ো ভাইরাল, ৬ টি গুলি খেয়ে মৃত্যু যুবতীর
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2022 | 7:31 PM

তেহরান : ২২ বছরের যুবতী মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে জ্বলছে ইরান। ইরানের পশ্চিম প্রান্ত থেকে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। সেদেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির জারি ‘ফরমান’ অমান্য করেই হাওয়ায় চুল ওড়াচ্ছেন মহিলারা। তার ফলে কঠোর সাজাও মিলছে বিক্ষোভকারীদের। আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে পা মিলিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জ, গুলি খেয়েছে একাধিক বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০০-র বেশি মানুষকে। আর এই প্রতিবাদের প্রতীকী ভাষা প্রকাশ করতেই আমিনির মতোই পরিণতি হল বছর ২০ এর এক যুবতীর।

হাদিস নাফাজির একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে তাঁর মাথায় নেই যথাযথভাবে হিজাব, ঘাড়ের পিছনে এলোমেলো চুল। সেই ভিডিয়োতে বোল্ড লুকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে তাঁর চুল বাঁধার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। এটাই তার অপরাধ? ইরানে মহিলাদের জন্য কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে। তার মধ্যে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। আর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি নিজে এই বিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় শাস্তি হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি করে মারা হয়েছে নাফাজিকে। তাঁর দেহে ৬ টি বুলেট গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তাঁর তলপেট, কাঁধ, হার্ট ও হাতে গুলি করা হয়েছে। এই যুবতীর শেষকৃত্যের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইরানে পরিস্থিতি ভয়াবহ মোড় নিচ্ছে। সেখানে মহিলারা প্রেসিডেন্টের ফরমানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আকাশে উড়াচ্ছে হিজাব। আগুনে পুড়িয়েও দিয়েছেন অনেকে। প্রতিবাদ মিছিল থেকে ‘প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হোক’ স্লোগান উঠেছে। প্রকাশ্যে নিজেদের চুল কেটেছেন মহিলারা। সেই কাজে তাঁদের সহযোগিতার দিকে এগিয়ে এসেছেন পুরুষরাও। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। চালিয়েছে গুলিও। পুলিশি ‘নৃশংসতায়’ সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের বেশি। এদিকে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রইসি। বিক্ষোভে নেমে ইরানে গ্রেফতারও হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। এদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে ইরানকে অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার কথাও বলা হয়েছে।