Israel Crisis: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে বড় প্রভাব ভারতের বাণিজ্যে? পেট্রলের পাশাপাশি দাম বাড়বে খাদ্যদ্রব্যের?

Israel Crisis: অনেক ভারতীয় কোম্পানি এই ইহুদি রাষ্ট্রে বিনিয়োগ করেছে। এদেশ থেকে ইজরায়েলে পণ্য ও পরিষেবা রফতানির অঙ্কটাও বেশ বড়। ইজরায়েলে বহু জিনিস রফতানি করে ভারত। এরমধ্যে রয়েছে চামড়া, পোশাক, সুতি ও উলের জিনপত্র, পালিশ করা ইরে, প্যাকেটজাত খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি।

Israel Crisis: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে বড় প্রভাব ভারতের বাণিজ্যে? পেট্রলের পাশাপাশি দাম বাড়বে খাদ্যদ্রব্যের?
প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক্স- শুভ্রনীল দে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2023 | 10:25 PM

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা তুমুল লড়াই ঘিরে তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। কী হবে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যুদ্ধ ঘিরে কার্যত আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গিয়েছে বিশ্বে। হামাসের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরষ্ক, ইরান, মিশর, জর্ডন, আলজিরিয়া, ইয়েমেনের মতো একাধিক দেশ। উল্টোদিকে ইজরায়েলের পথে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ছাড়াও ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো ইউরোপের একাধিক দেশ। ভারতকেও পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। হামাস আক্রমণের পরেই ইহুদি রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা দিল্লিকে ধন্যবাদ জানান ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। এরইমধ্যে সেদেশের রাষ্ট্র প্রধান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথাও হয় মোদীর। এদিকে ইজরায়েল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগী। আরও স্পষ্ট করে বললে এশিয়ায় ইজরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ভারত। 

অনেক ভারতীয় কোম্পানি এই ইহুদি রাষ্ট্রে বিনিয়োগ করেছে। এদেশ থেকে ইজরায়েলে পণ্য ও পরিষেবা রফতানির অঙ্কটাও বেশ বড়। ইজরায়েলে বহু জিনিস রফতানি করে ভারত। এরমধ্যে রয়েছে চামড়া, পোশাক, সুতি ও উলের জিনপত্র, পালিশ করা ইরে, প্যাকেটজাত খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি। উল্টোদিকে সেখান থেকে বেশ কিছু জিনিস আমদানি করে ভারত। তালিকায় রয়েছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি, জল শোধনের যন্ত্রাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত-ইজরায়েল বাণিজ্যের অঙ্কটা ছিল ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা। 

বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমান সঙ্কটের কারণে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের বাণিজ্যে ভয়ঙ্কর কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে সমস্যা বাড়বে। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ অনির্বান দত্ত বলছেন, ভারত থেকে যাঁরা ইজরায়েলে রফতানি করছিল তাঁরা হয়তো রফতানি করে বসে রয়েছে। তাঁদের সেই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। পাশাপাশি যে জিনিসগুলি রফতানি হওয়ার কথা ছিল সেগুলিও থমকে যেতে পারে। 

যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি। তেলের দাম বৃদ্ধির অর্থ মুদ্রাস্ফীতি। ভারত তার প্রয়োজনীয় অপরিশোধিত তেলের বেশিরভাগই আমদানি করে। ফলে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু জ্বালানি তেল নয়। যুদ্ধ আরও জটিল আকার নিলে সোনার দামেও সেই ছাপ পড়তে পারে। ছাপ পড়তে পারে শেয়ার মার্কেটেও। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।