Israel-Hamas War: যেন ভূতের শহর! ৭০-এর দশকের স্মৃতি উসকে দিল গাজার বর্তমান পরিস্থিতি

Gaza: হামাস বাহিনী ও ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর মধ্যে শক্তির লড়াই চলছে। এপ্রান্ত-অপ্রান্ত দৌড়ে কিছু হবে না, কখন কোথায় আগুনের গোলা পড়বে, তা ভেবেই শঙ্কিত শহরবাসী। বাহেবাহে বলেন, "লোকজন খুবই আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।" পরবর্তী কী বিপদ নেমে আসবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে। এটা একেবারে ৭০ দশকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলেই মেন করছেন বাহবাহে।

Israel-Hamas War: যেন ভূতের শহর! ৭০-এর দশকের স্মৃতি উসকে দিল গাজার বর্তমান পরিস্থিতি
শুনসান গাজা শহর।Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2023 | 12:57 AM

জেরুজালেম: রাস্তাঘাট শুনশান। মানুষ দূরের কথা, একটা পশু-পাখিরও দেখা নেই। যেন একেবারে জনমানবশূন্য। গত চারদিন ধরে লাগাতার যুদ্ধ চলার পর এমনই পরিস্থিতি ইজরায়েলের (Israel) সীমান্তবর্তী গাজা (Gaza) এলাকার। যা দেখে ৭০ দশরের আগের কথা মনে পড়ে গেল এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা মে বাহবাহের। তাঁর কথায়, “যেন একেবারে ভূতের শহর।”

সেই শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রকেট, গোলা বর্ষণ। প্রথমদিকে আতঙ্কে লোকজন এপ্রান্ত থেকে অপ্রান্তে দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিন্তু, তারপর যত সময় এগিয়েছে, ঘটনাটি স্পষ্ট হয়েছে ইজরায়েলের নাগরিকদের কাছে। এ যে যুদ্ধ লেগেছে। হামাস বাহিনী ও ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর মধ্যে শক্তির লড়াই চলছে। এপ্রান্ত-অপ্রান্ত দৌড়ে কিছু হবে না, কখন কোথায় আগুনের গোলা পড়বে, তা ভেবেই শঙ্কিত শহরবাসী। বাহেবাহে বলেন, “লোকজন খুবই আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।” পরবর্তী কী বিপদ নেমে আসবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে। এটা একেবারে ৭০ দশকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলেই মেন করছেন বাহবাহে।

১৯৭৩ সালের মতো একই পরিস্থিতি হলেও এবার প্রতিপক্ষ আলাদা। ১৯৭৩-এ চতুর্থ আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ হয়। এলাকা দখল নিয়েই মূল বিবাদ। এর আগেও তিনবার আরব ইজরায়েলের যুদ্ধ হয়। তবে ইজরায়েলকে পরাস্ত করতে পারেনি আরব দেশগুলির জোট। পরিবর্তে, গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, সিনাই, গোলান হাইটসের মতো প্যালেস্টাইনের আরও অনেক এলাকা দখল করে নেয় ইজরায়েল। তবে সেই যুদ্ধের সময়ও শুনসান, প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছিল গাজা-সহ ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

গাজা বর্তমানে ইজরায়েলের অংশ হলেও এখানে বহু প্যালেস্তাইনি থাকেন। মূলত, ইজরায়েলে পূর্বাঞ্চলে এখনও প্যালেস্তাইনিদের বাস। যেভাবে দুই দেশের মধ্যো হুমকি, গোলা বর্ষণ শুরু হয়েছে, কবে এর থেকে নিষ্পত্তি মিলবে তা কেউ জানে না। স্বাভাবিকভাবেই ঘরের ভিতর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে লোকজন। বাহেবাহে বলেন, “কেবল চাকরি বাঁচাতেই লোকজন বাড়ির বাইরে বেরোন। কিন্তু, ইজরায়েলি বাহিনী ব্যবহার করতে পারে ভেবে তারা উদ্বিগ্ন। কারণ যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে।”

ইতিমধ্যে রাস্তায় বেরোলে অনেক প্যালেস্তাইনকে ইজরায়েলি পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। চল্লিশোর্ধ্ব হাজিম বলেন, “এক পুলিশ অফিসার আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তল্লাশি করে। একজন আমাকে থাপ্পড়ও মারে।” মঙ্গলবারও শহরের মেইন মার্কেটের অনেক দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটও ছিল শুনসান। রেস্টুরেন্ট খোলা রয়েছে কেবল সেনা, দমকল বাহিনীর জন্য, সেখানে রাঁধুনি ছাড়া আর কেউ নেই। সব লোকের চোখ কেবল টিভির দিকে।

এদিকে, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধে ইতিমধ্যে বহু নিরীহ মানুষেরও প্রাণ গিয়েছে। হামাস বাহিনীকে শিক্ষা দিতে গাজা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত গাজায় বসবাসকারী প্যালেস্তাইনরা।