Taliban Rules: ‘সুষ্ঠ ইসলামিক পরিবেশ’ তৈরির দোহাই, ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে মানা করলেন অধ্যক্ষ

Afghan Female Students Asked not to Come in University: বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনের দায়িত্ব পাওয়ার পরই ঘাইরাত মহিলা পড়ুয়াদের আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বারণ করে দিয়েছেন।

Taliban Rules: 'সুষ্ঠ ইসলামিক পরিবেশ' তৈরির দোহাই, ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে মানা করলেন অধ্যক্ষ
বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না আফগান ছাত্রীরা। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 11:49 AM

কাবুল: আফগানি মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়াও আটকে দিল তালিবান (Taliban)। আলাদাভাবে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা, হিজাব-নিকাবের নিয়ম এনেও স্বস্তি পায়নি আফগানিস্তানের নয়া সরকার, এবার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জানিয়ে দিলেন, আসল ইসলামিক পরিবেশ (Islamic Environment) গঠন না হওয়া অবধি মহিলা পড়ুয়ারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসেন।

অন্তবর্তী সরকারের ঘোষণার পরই কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়(Kabul University)-র অধ্যক্ষ মহম্মদ ওসমান বাবুরিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বদলে নিয়োগ করা হয় মহম্মদ আসরাফ ঘাইরাতকে। এই ঘাইরাতকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসাবে তাঁকে নিয়োগ করাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা করা হয়।

ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনের দায়িত্ব পাওয়ার পরই ঘাইরাত মহিলা পড়ুয়াদের আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বারণ করে দিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষত মহিলাদের জন্য আদর্শ ইসলামিক পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার জন্য মহিলা ও পুরুষদের জন্য ভিন্ন ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা হবে।” এবার ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতেই মানা করে দিলেন তিনি।

ক্ষমতায় আসার পরই আফগানিস্তান জুড়ে মহিলারা অধিকার ও স্বাধীনতা খোয়ানোর আশঙ্কা  করেছিলেন। কিন্তু তালিবানের তরফে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছিল, তারা বদলবে গিয়েছে। শরিয়া আইন মেনেই আফগান মহিলাদের শিক্ষা ও কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে।

যদিও এই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। চিকিৎসাক্ষেত্রে কর্মীদের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে ফিরতে অনুমতি দেওয়া হলেও বাকিদের বাড়িতে থাকতেই নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতিই এক নতুন ফতেয়ায় জানানো হয়েছিল যে, সমস্ত প্রশাসনিক পদগুলি থেকে যেন মহিলাদের সরিয়ে পুরুষ কর্মী নিয়োগ করা হয়। যেসমস্ত কাজ পুরুষদের পক্ষে করা সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রেই মহিলারা নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।

শিক্ষাক্ষেত্রেও তালিবানি ফতেয়া জারি করা হয়। নয়া সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, মহিলারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারলেও তারা ছাত্রদের সঙ্গে একই কক্ষে বসতে পারবেন না। স্বামী বা রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনও পুরুষ সঙ্গীর তত্বাবধানেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। যদি আলাদা ক্লাসরুমের ব্যবস্থা না করা যায়, তবে ১৫ জনের বেশি পড়ুয়া থাকলেও মাঝখানে পর্দা টাঙিয়ে দিতে হবে। মহিলাদের ক্লাসও ৫ মিনিট আগে শেষ করতে হবে, যাতে বেরনোর সময় পুরুষদের সঙ্গে দেখা না হয়। মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য আবায়া ও নিকাব পরতে হবে।

শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও বলা হয় একমাত্র মহিলা শিক্ষিকারাই ছাত্রীদের পড়াতে পারবেন। একান্তই যদি শিক্ষিকা না পাওয়া যায়, তবে ভাল চরিত্রের কোনও বয়স্ক শিক্ষককে নিয়োগ করা হবে। সাংস্কৃতিক কমিশনের ডেপুটি প্রধান আহমাদুল্লাহ ওয়াসিকও নয়া নির্দেশিকা ঘোষণা করে বলেন, “মহিলাদের খেলাধুলোর কোনও প্রয়োজন নেই। এতে শরীর প্রদর্শন হয়, যা আইন বিরুদ্ধ। তাই এতদিন ধরে আফগান মহিলারা ক্রিকেট সহ অন্যান্য যে ক্রীড়াগুলিতে অংশ নিতেন, সেগুলিতে আর অংশ নিতে পারবেন না।”