Madhura Naik: যুদ্ধে প্রিয়জনদের হারালেন অভিনেত্রী মধুরা নায়েক
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন মধুরা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, হামাস বাহিনীর হানায় তাঁর বোন এবং ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলে। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার হামাস জঙ্গিদের হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর দুই পরিজনের। এমনকি বাচ্চাদের সামনেই তাঁর বোন ও বোনের বরকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি মধুরার।

নয়াদিল্লি: নাগিন টিভি সিরিজের অভিনেত্রী মধুরা নায়েকের পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন মধুরা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, হামাস বাহিনীর হানায় তাঁর বোন এবং ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলে। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার হামাস জঙ্গিদের হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর দুই পরিজনের। এমনকি বাচ্চাদের সামনেই তাঁর বোন ও বোনের বরকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি মধুরার। কোনও পক্ষের হিংসার পক্ষে না থাকলেও, তিনি মনে করেন ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ভিডিয়োয় মধুরা নায়েক বলেছেন, “আমি মধুরা নায়েক। আমি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইহুদি। ভারতে আমরা মাত্র ৩০০০ জন রয়েছি। ৭ অক্টোবর আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। আমার তুতো বোন ওডায়া এবং তাঁর স্বামীকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। দুই সন্তানের সামনেই খুন করা হয়েছে তাঁদের। যে কষ্ট এবং যন্ত্রণার মুখোমুখি আমাদের পরিবার এখন হয়েছে, তা আমরা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। হামাস মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধদের টার্গেট করে মারছে।”
ইহুদি হওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এক দল আরবপন্থীদের হাতে তাঁকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মধুরা নায়েক। এ বিষয়ে তিনি ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, “গতকাল আমি আমার বোন এবং তাঁর পরিবারের ছবি শেয়ার করেছিলাম বিশ্বের সামনে তা তুলে ধরার জন্য। কেবলমাত্র ইহুদি হওয়ার কারণে আমাকে যে ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হল, তাতে আমি অবাক। অভিনয়ের মাধ্যমে আমি ভক্তকদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু প্যালেস্তাইনপন্থীদের এই ঘৃণা আমাকে আহত করেছে। যেসব আরব-প্যালেস্তাইনপন্থীরা ইজরায়েলকে ঠান্ডা মাথার খুনী বলে প্রচার চালাচ্ছেন, তা একেবারেই ঠিক নয়। আত্মরক্ষা জঙ্গিপনা নয়। আমি খুব পরিষ্কার করে জানাচ্ছি, আমি হিংসা সমর্থন করি না।”

প্রিয়জনদের হারিয়েছেন মধুরা
গত শনিবার গাজা স্ট্রিপ থেকে ইজরায়েলের উপর রকেট হামলা শুরু করে হামাস বাহিনী। সেই হামলায় ইজরায়েলে প্রচুর সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে হামাস জঙ্গিদের নীরিহ ইজরায়েলবাসীর উপর হামলাও দেখে বিশ্ব। এর পরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। ইজরায়েলের এয়ার স্ট্রাইটে গাজায় হামাসের বিভিন্ন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই যুদ্ধ ঘিরেই এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি মধ্য প্রাচ্যে।





