Hasina on Cattle smuggling: ‘ধৈর্য দেখানো উচিত’, ভারত-বাংলাদেশ গরু পাচার নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা

Sheikh Hasina on Cattle smuggling: পশ্চিমবঙ্গে গরু পাচার মামলা নিয়ে তদন্তের মধ্যে, ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু চোরাচালানের বিষয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কী বললেন তিনি?

Hasina on Cattle smuggling: 'ধৈর্য দেখানো উচিত', ভারত-বাংলাদেশ গরু পাচার নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা
গরু পাচারের ঘটনা এখনও কিছু কিছু ঘটে বলে মেনে নিলেন হাসিনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2022 | 4:03 PM

ঢাকা: গরু পাচার মামলার তদন্ত নিয়ে উত্তাল এপাড় বাংলা। সিবিআই-এর হেফাজতে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। রোজই এই মামলার বিষয়ে বের হচ্ছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তারই মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু চোরাচালানের সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে দাবি করলেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই বিষয়ে ভারতের একটু ‘ধৈর্য্য দেখানো উচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “এখনও মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা (গরু পাচার) ঘটে। তাই আমরা ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছি, গরু পাচারের বিষয়ে তাদের একটু ধৈর্য দেখানো উচিত। ইতিমধ্যেই আপনারা জানেন, আমাদের দেশ এখন ভারতীয় গরুর উপর খুব একটা নির্ভর করে না। আমরা আমাদের নিজস্ব গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি করছি। কারণ, আমাদের এখানে গবাদি পশুর প্রয়োজন। কিন্তু সীমান্ত কিছু চোরাচালান হয়েই থাকে। তাই দুই পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, তারা একসঙ্গে বসে আলোচনা করে। এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে, তাঁরা ফ্ল্যাগ মিটিং করেন, আলোচনা করেন। তাই, আমরা আশ্বাস দিচ্ছি এটা (গরু পাচার) আরও কমে যাবে পাবে, এটা হওয়া উচিত নয়।”

সোমবারই এক গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে আসছেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয় দেশগুলির মধ্যে এই দুই দেশের অর্থনীতিরই সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটছে। এর মধ্যে হাসিনার চারদিনের সফরে, সেই সহযোগিতার সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এর পাশপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার বিষয়েও মুখ খুলেছেন হাসিনা। তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি যে দুই দেশেরই উদারতা দেখানো উচিত। বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আমাদের এখানে অনেক ধর্মের মানুষ আছেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি এখানে খুব বেশি। তাই কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার বিষয়ে আমার দল, দলের লোকজন এবং আমার সরকার খুবই সচেতন। আমরা অবিলম্বে ব্যবস্থা নিই।”